এক সন্তানের জননী নিপা বেগমকে ভারতে নিয়ে অনৈতিককাজে বাধ্য করার অভিযোগে সোমবার বরিশালের আদালতে মামলা করেছিলেন তার সাবেক স্বামী মিলন। বুধবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সেই নারীই বাদীর (মিলন) বিপক্ষে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই সাথে আমেরিকায় ভালো চাকরীর প্রলোভনে ভারতে নেওয়ার অভিযোগে আদালতে মানবপাচার আইনে দায়ের হওয়া মামলার ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করেন নিপা।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, নিপার ২০০৬ সালে মিলনের সঙ্গে বিয়ে হলে তাদের সংসারে ১৬ বয়সী ছেলে জন্ম নেয়। এরমধ্যে মাদক পাচারে বাধ্য করাসহ মারধর করায় স্বামী মিলনকে ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর তালাক দেন নিপা। এরপর বরিশাল নগরীর আলমগীর হোসেনের সঙ্গে নতুনভাবে সংসার বাধেন নিপা। অসুস্থতা জনিত কারণে ২৪ মার্চ বর্তমান স্বামী আলমগীর ও সন্তানকে নিয়ে ভারতের কলকাতায় যান চিকিৎসা গ্রহণে।
বিজ্ঞাপন
সেখানকার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থানকালে ২৫ মার্চ কয়েকজন যুবক সেই হোটেলে গিয়ে নিপার বর্তমান স্বামী আলমগীরকে লাঞ্ছিত করে। পাশাপাশি ছেলে ইফাতকে নিপার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বাবা মিলন আকনের কাছে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সাবেক স্বামী মিলনের ভয়ে নিপা চিকিৎসা না করিয়ে বর্তমান স্বামী আলমগীরসহ ২৬ মার্চ আকাশপথে দেশে চলে আসেন।
তবে ওই সময়ের মধ্যে সাবেক স্বামী মিলন নিপার বর্তমান স্বামী আলমগীরের পরিবারকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো। হুমকি থেকে বাঁচতে গত ৩১ মার্চ নিপা কোতোয়ালি মডেল থানায় মিলন আকনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার (১ এপ্রিল) মিলন আকন বাদী হয়ে মানবপাচার আইনে মিথ্যে অভিযোগে মামলা করেন। সেই মামলায় নিপার বর্তমান স্বামী আলমগীর হোসেনসহ দু’জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন নিপা।
প্রতিনিধি/একেবি
বিজ্ঞাপন