জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইফতারের সময় ফোন করে ডেকে নিয়ে উজ্জল মিয়া (১৪) নামে এক কিশোরকে হত্যা করেছে তার বন্ধুরা।
নিখোঁজের চারদিন পর আজ রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে সেপটিক ট্যাংকি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
নিহত উজ্জল মিয়া উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরবালিয়া গ্রামের উশর আলীর ছেলে। উজ্জল পেশায় রাজমিস্ত্রির হেলপারের কাজ করতো।
ঘটনার সাথে জড়িতরা এলাকায় কিশোর গ্যাং ও মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত বলে জানা গেছে। হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে নিহত উজ্জল মিয়ার দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো—চরবালিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আবু সাইদ ও প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন।
নিহতের ফুফাতো ভাই মিজানুর রহমান জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের সময় উজ্জলকে তার ইমু নম্বরে একজন কল করে। তৎক্ষণাৎ সে বের হয়ে যায়। পরে উজ্জলের নম্বর থেকে তার বোন অন্তরা আক্তারকে কল করে জানানো হয় যে বিকাশে পাঁচ হাজার টাকা পাঠাতে হবে, নইলে তাকে মেরে ফেলা হবে। এরপর থেকেই পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এ ঘটনার পর উজ্জলের বাবা উশর আলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর ঘটনার তদন্ত ও কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। সন্দেহভাজন একই গ্রামের দোকানদার শাহাবুদ্দিনকে পুলিশ আটক করলেও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল মালেক তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
বিজ্ঞাপন
এদিকে রোববার দুপুরে প্রতিবেশি রাজমিস্ত্রী আপেলের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ও পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্যাংকিতে ফেলা অবস্থায় উজ্জলের অর্ধগলিত মৃতদেহ সনাক্ত করে।
আরও পড়ুন
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহাবুদ্দিন দোকানদারের ছেলে পরান মিয়া ইমুতে কল করে উজ্জলকে ডেকে নিয়ে যায়। তার বন্ধুরা অধিকাংশ মাদকাসক্ত ও কিশোর গ্যাং হিসেবে এলাকায় পরিচিত। রাজমিস্ত্রী আপেলের নির্মাণাধীন আধাপাকা ঘরে ওই গ্যাং প্রায়ই আড্ডা দিতো।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/একেবি