বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে মনোনীত কথাশিল্পী ইসহাক খান

জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৪ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ এ মনোনীত হয়েছেন সিরাজগঞ্জের কৃতি সন্তান প্রখ্যাত কথাশিল্পী ও টেলিভিশন মিডিয়ার প্রথিতযশা নাট্যকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক খান। তার প্রতিভার এই স্বীকৃতি সিরাজগঞ্জবাসীকে গৌরবান্বিত করেছে।  

গত (২৪ জানুয়ারি) বুধবার বাংলা একাডেমির সচিব ড. মো. হাসান কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটি ২০২৩’ এর সম্মানিত সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে এবং বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩’ ঘোষণা করা হলো। বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করবেন। 


বিজ্ঞাপন


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ইসহাক খান আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনী ক্যাটাগরিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন। বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- কবিতায় শামীম আজাদ, প্রবন্ধ/গবেষণায় জুলফিকার মতিন, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্যসাহিত্যে (যাত্রা/পালা নাটক/সাহিত্যনির্ভর আর্টফিল্ম বা নান্দনিক চলচ্চিত্র) মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক।

এছাড়া শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণায় আফরোজা পারভিন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনী/ মুক্তগদ্যে ইসহাক খান এবং ফোকলোর বিষয়ে তপন বাগচী ও সুমন কুমার দাশ।

অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কথাশিল্পী ইসহাক খান বলেন, যেকোন পুরস্কার প্রাপ্তি আনন্দের। বাংলা একাডেমি পুরস্কার সব লেখকেরই আরোধ্য। অথচ এই পুরস্কার নিয়ে সমালোচনাও বিস্তর। এই রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি আমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমি সাহিত্যের প্রতি আরও নিবিষ্ট হবো। মহৎ সাহিত্য সৃষ্টি হবে আমার মূল লক্ষ্য।

কথাশিল্পী ইসহাক খান ১৯৫৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার কানসোনা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলেও লেখক ও নট্যকার হিসেবে ইসহাক খান দেশব্যাপী পরচিতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নকালীন সময়েই তিনি জনপ্রিয় ‘আনন্দ’ পত্রিকায় সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখান থেকে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় যোগদান করে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। সাহিত্য পেশার পাশাপাশি তিনি সরকারি চাকুরিও করেছেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, নগ্ন নাট্যমন্দির, স্বপ্নের সুন্দর, লড়াই, আগুনে রেখেছ হাত, মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাসসমগ্র, যারা যুদ্ধ করেছিল, জয় বাংলা আমার নাম, আমার মুক্তিযুদ্ধ, উপন্যাস সমগ্র-১, দূর যাত্রা, পাগলা ডাক্তারের বিচ্চুবাহিনী, নগরের ঘোড়া, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা, আবার দেখা হবে, দূরযাত্রা, আকশে সেদিন জ্যো¯œা ছিল, তালিকায় নাম নেই, আগুনের ছায়া, দিন ফিরে আসে, আংশিক রঙিন। তিনি সম্পাদনা করেছেন প্রতীক এবং সাপ্তাহিক আগামীর পথে।  


বিজ্ঞাপন


সাহিত্য চর্চার পাশাাশি বিটিভি, একুশে টিভি, চ্যানেল আই, এটিএন বাংলাসহ বিভিন্ন টেলিভিশনে ইসহাক খানের শতাধিক নাটক প্রচারিত হয়েছে। সাহিত্যকর্মে বিশেষ অবদান রাখায় ইসহাক খান ডাকসু সাহিত্য পুরস্কার, রাজশাহী বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ গল্পের স্বর্ণপদক, আমরা কিংবদন্তি সাহিত্য সংগঠনের দেওয়া শ্রেষ্ঠ গল্পকারের পুরস্কার পেয়েছেন। 

কথাশিল্পী ইসহাক খান বর্তমানে রুদ্র সংসদের সহ-সভাপতি, মুক্তধারা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রতিনিধি/ এজে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর