‘আমাকে গত মাসে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় সরকারি কাজির কাছে নিয়ে বিয়ে করে মাহমুদ। আমরা ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আট-দশদিন এক সঙ্গে থাকি। বিয়ের কথা মাহমুদের বাড়িতে জানালে তার পরিবার আমাকে মেনে নেবে না তাই সে আমাকে রেখে চলে আসে। এখন বাধ্য হয়েই আমি স্বামীর অধিকার পেতে এসেছি।’ কথাগুলো বলছিলেন স্ত্রীর অধিকার পেতে অনশনে বসা এক নারী।
ওই নারী (২২) বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মাহমুদ কলির বাড়িতে গত ৭ ডিসেম্বর থেকে অনশনে বসেছেন। এদিকে ওই নারীর অবস্থান টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছেন মাহমুদ কলি।
বিজ্ঞাপন
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গোশাইপুর ইউনিয়নের ধাতুয়া গ্রামের বাসিন্দা যুবক মাহমুদ কলি। আর স্ত্রীর অধিকার পেতে অনশনে থাকা ওই নারী একই ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়া এলাকার বাসিন্দা।
অনশনে বসা ওই নারী বলেন, মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর পরে সে তার বন্ধুদের বাসায় নিয়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। গত মাসে আমাকে গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকায় সরকারি কাজির কাছে নিয়ে বিয়ে করে। আমরা ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে আট-দশদিন একসঙ্গে থাকি। বিয়ের বিষয়টি তার বাড়িতে জানালে তার পরিবার আমাকে মেনে নেবে না জানালে সে আমাকে রেখে চলে আসে। এদিকে, বাড়িতে এসে ফোনের মাধ্যমে আমার কাছে যৌতুকের টাকা দাবি করে। আমার সঙ্গে অনেক বাজে ব্যবহারও করে আমার স্বামী। আমি আজ আমার স্বামীর বাড়িতে উঠেছি, আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই।
এদিকে, অনশনের কথা জেনেই কৌশলে পালিয়ে গেছে মাহমুদ কলি।
জানতে চাইলে মাহমুদ কলির বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ছেলে কোথায় আছে আমি বলতে পারি না। আমার ছেলেকে তারা চাকরির কথা বলে ঢাকায় নিয়ে জোর জবরদস্তি করে বিয়ে করিয়ে দেয়। আমরা এই অবৈধ বিয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি।
গোশাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজামাল ইসলাম আশিক বলেন, ঘটনা শুনেছি। তারা উভয়ের আমার ইউনিয়নের। আমি আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। প্রয়োজনে আইনি সহায়তা নিব।
টিবি