ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা কার্যক্রম। ২০০২ সালে হাসপাতালটি চালু হওয়ার পর থেকে এ সেবাটির জন্য জনসাধারণকে জেলা শহর অথবা উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ ২১ বছর পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবাটি চালু হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩১ শয্যার ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বল্প পরিসরে জনবল ও সেবা নিয়ে চালু হওয়া স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি শামুক গতিতে চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় একেরপর এক সেবা সম্প্রসারণ করা হয়। চালু হয় প্রসূতি ও সিজারিয়ান সেবা কার্যক্রম। ৩ নভেম্বর এ হাসপাতালটিতে চালু হয় আল্ট্রাসোনোগ্রাম সেবা কার্যক্রম।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটি চালুর পর থেকে জনবল সংকট, শয্যা সংকট, যন্ত্রপাতি সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত ছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে হাসপাতলটিতে সিজারিয়ান কার্যক্রম চালু হওয়ার পর প্রসূতি সেবায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তবে আল্ট্রাসোনোগ্রাম সেবা না থাকায় হাসপাতালটিতে আগত সেবাগ্রহীতারা বিড়ম্বনায় ও বেকায়দায় পড়ত। সেবাটির জন্য জেলা শহর অথবা উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ত। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখনও এক্স-রে, ডেন্টাল ও ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই দীর্ঘদিন। ফলে হাসপাতালের টেকনিশিয়ানের অভাবে এখন যন্ত্রগুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম।
সালমা আক্তার নামের এক গৃহিণী জানায়, আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেনীতে যেতে হতো। এতে করে প্রসূতি নারীদের জন্য জেলা শহরে যাতায়াতে স্বাস্থ্য সমস্যাসহ নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতো। কিন্তু এখন এখানে গর্ববতী নারীদের নানা রকম পরীক্ষা ও আল্ট্রাসোনোগ্রাম চালু হয়েছে। এটি একটি ভালো খবর ও স্বস্তির খবর।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম জানান, গর্বকালীন প্রায় সব নারীর আল্ট্রাসোনোগ্রাম করতে হয়। আমি যোগদানের পর থেকে সেবা সম্প্রসাণের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিজার, আল্ট্রাসোনোগ্রাম ও প্যাথেলোজি কার্যক্রম চালু করেছি। হাসপাতালে বর্তমানে সেবার মান বাড়ায় সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ও প্রত্যাশা বেড়েছে। প্রত্যাশা ও চেষ্টার সম্মিলনে হাসপাতালটি এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিনিধি/এসএস