রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

টাকার জন্য শ্যালকের ছেলের হাতে বৃদ্ধ খুন, গ্রেফতার ৪

জেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৯ পিএম

শেয়ার করুন:

টাকার জন্য শ্যালকের ছেলের হাতে বৃদ্ধ খুন, গ্রেফতার ৪

টাকার জন্যই শ্যালকের ছেলের হাতে খুন হয়েছেন জয়পুরহাটের কালাই শিকটা গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক সৈয়দ আলী আকন্দ।

এ ঘটনায় পুলিশ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী বৃদ্ধের শ্যালকের ছেলে শিকটা গ্রামের হারুনুর রশীদসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জয়পুরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় আসামি গ্রেফতার, আলামত উদ্ধার ও খুনের দায় স্বীকার সংক্রান্ত এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান। 

গ্রেফতার অন্য আসামিরা হলেন- একই গ্রামের গ্রাম পুলিশ সুজন মিয়া (২৩), মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াজেদুল (৩৫) এবং নাজির হোসেন (৩৫)।

তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ খুনের কাজে ব্যবহার করা চাকু ও চুরি করা জমির দলিলপত্র এবং ৬২ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বৃদ্ধ সৈয়দ আলী অনেক জমির মালিক। তার কাছে সবসময় মোটা অঙ্কের নগদ টাকা থাকে। তার শ্যালকের ছেলে একই গ্রামের হারুনুর রশীদ খুনের আগের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় পুনট বাজারে আসামি নাজির হোসেনের ফ্লেক্সি লোডের দোকানে অন্য আসামিদের নিয়ে সেই টাকা চুরি করার জন্য পরিকল্পনা করে।


বিজ্ঞাপন


পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা শুক্রবার রাত ১২টার দিকে বাড়ির প্রাচীর টপকে বৃদ্ধর ঘরে ঢুকে নগদ দুই লাখ টাকা ও বেশকিছু জমির দলিলসহ ব্যাগ চুরি করে। এসময় বৃদ্ধ চিৎকার করলে আসামি সুজন চাকু দিয়ে তার কণ্ঠনালী কেটে দিলে বৃদ্ধ মারা যায়। পরে আসামিরা সেই টাকা ভাগাভাগি করে নিয়ে গাঢাকা দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর পুলিশ তাদের কাছ থেকে নগদ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা, দলিলসহ ব্যাগ এবং খুনের কাজে ব্যবহার করা চাকু উদ্ধার করেছে। সোমবার আসামিরা খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বাকারোক্তীমুলক জবানবন্দী দিবেন বলেও পুলিশ সুপার দাবি করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে কালাই উপজেলার শিকটা গ্রামের বিত্তবান কৃষক বৃদ্ধ সৈয়দ আলীকে নিজ ঘরে খুন করে নগদ টাকা ও জমির দলিল চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার সকালে তার দুই ছেলেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে ক্লু না পেয়ে ছেড়ে দেন। পরে নিহতের শ্যালকের ছেলে হারুনুর রশীদ গ্রেফতার হলে পুলিশ হত্যাকাণ্ডের পুরো রহস্য উদঘাটন করে।

প্রতিনিধি/এসএস 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর