রোববার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা

জেলা প্রতিনিধি, বগুড়া
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বিএনপি থেকে চার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।

দলে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত এই সাবেক সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন।


বিজ্ঞাপন


বিএনপি তাকে মুল্যায়ন না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ডা. জিয়াউল হক মোল্লা।

১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ডা. জিয়াউল হক মোল্লার বাবা আজিজুল হক মোল্লা বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি মারা গেলে উপ-নির্বাচনে ডা. জিয়াউল হক মোল্লা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বগুড়া- ৪ আসনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত হলে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পান। সেই থেকে রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন।

২০১৮ সালে বিএনপি তাকে প্রাথমিকভাবে দলীয় মনোনয়ন দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে মোশাররফ হোসেনকে দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে মোশাররফ হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন।

ডা. জিয়াউল হক মোল্লা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন এমন গুঞ্জন এলাকায় চলছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। অবশেষে গত সোমবার (২৭ নভেম্বর) জিয়াউল হক মোল্লা বগুড়া শহরের মালতিনগরে তার বাসায় এলাকার কর্মী সমর্থকদেরকে নিয়ে বৈঠক করে প্রকাশ্যে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। বৈঠকে তার নির্বাচনী এলাকার তৃনমুল পর্যায়ের বিএনপির সাবেক বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন


নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জিয়াউল হক মোল্লা বলেন,আমি একজন চিকিৎসক। বাবার মৃত্যুর পর বিএনপি আমাকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। বিএনপি থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। সংস্কারপন্থী হওয়ার অভিযোগে আমাকে বিএনপির গ্রাম কমিটিতেও রাখা হয়নি। সংস্কারপন্থীদের অনেকেই দলে ফিরেছে, দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছে। অথচ আমাকে মুল্যায়ন করেনি বিএনপি। তিনি বলেন নির্বাচনী এলাকায় আমার সুনাম আছে, কর্মী সমর্থক আছে, একারণে এবার নির্বাচনে যাচ্ছি।

কাহালু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাকছুদুর রহমান মাসুদ বলেন, এই আসনে দলীয় ব্যানার ছাড়া নির্বাচিত হওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, ডা. জিয়াউল হক মোল্লা নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভোটে প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি বিএনপির মধ্যে আভ্যন্তরীন দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পাবে।

কাহালু উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুর রহমান বলেন, ডা. জিয়াউল হক মোল্লার এলাকায় সুনাম রয়েছে। বিএনপি থেকে তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার তিনি নির্বাচন করলে বিএনপিতে ফেরার সুযোগ সারাজীবনের জন্য হারাবেন। এছাড়াও তিনি এলাকায় ঘৃণিত হবেন। নির্বাচনে অংশ নিলেও বিএনপির কেউ তার সঙ্গে নেই বলে জানান ফরিদুর রহমান।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর