ভিডিও কলে সৌদি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করে স্ত্রী সাদিয়া আক্তার (২০) রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ধারশুন গ্রামে বাবা সাইফুল ইসলামের বাড়ি থেকে সাদিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ২৫ আগস্ট পার্শ্ববর্তী বেলাহালি গ্রামের সৌদি প্রবাসী রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে ভিডিও কলে বিয়ে হয় সাদিয়ার।
বিয়ের পর গত এক বছরে স্বামী দেশে না আসায় তাদের সাক্ষাৎ হয়নি। গত শুক্রবার ২৫ আগস্ট ছিল তাদের বিবাহবার্ষিকী। এ কারণে স্বামীর বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকেলে বাবার বাড়িতে আসে সাদিয়া। রাতে তার বিছানায় ফুল দিয়ে সাজায় সাদিয়া। রাত ১১টা পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করে সাদিয়া। ১১টার পর ঘরে দরজা বন্ধ করে দেয়। সকালে কোনো সাড়া না পেয়ে পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ফুল দিয়ে সাজানো বিছানায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে সাদিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন।
সাদিয়া আক্তার দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ধারশুন গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পুত্রবধূর সঙ্গে ঝগড়া করে শাশুড়ির আত্মহত্যা
বিজ্ঞাপন
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে মৃত্যুর বিষয়টি আত্মহত্যা বলে মনে হলেও সন্দেহ দুর করতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, একই ইউনিয়নের বেলাহালি গ্রামের সৌদি প্রবাসী রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ের পর গত এক বছরেও দেশে না আসায় বিবাহবার্ষিকী ভিডিও কলে উদযাপন করা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া থেকে সাদিয়া আক্তার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে আত্মহত্যা করেছে। এমন তথ্য পাওয়া গেছে উভয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। তবে সাদিয়ার মৃত্যু নিয়ে কোনো পরিবারে অভিযোগ নেই। এ ঘটনায় থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।
প্রতিনিধি/এসএস