মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

দরপত্র জমা নিয়ে কথা কাটাকাটি

কাপ্তাইয়ে হত্যা চেষ্টার মামলায় ২ ছাত্রলীগ নেতার জেল

 জেলা প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০৮:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

দরপত্র জমা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর উদ্দিন সুমনকে (৩৬) এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাঙ্গামাটির একটি আদালত। একই সঙ্গে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

একই মামলার আরেক আসামি কাপ্তাই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলামকে (২৫) ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাহাব উদ্দিনের আদালত এই দণ্ড দিয়েছেন।

জানা গেছে, নূর উদ্দিন সুমন উপজেলার কাপ্তাই নতুন বাজার ঢাকাইয়া কলোনির কাশেম এবং জহিরুল ইসলাম একই কলোনির লিয়াকত আলীর ছেলে।

এদিকে মারধরের শিকার ব্যক্তি, মামলার বাদী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা সবাই আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থক বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সূত্র।

আরও পড়ুনঃ মিরসরাইয়ে লেগুনা-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীসহ আহত ৫


বিজ্ঞাপন


মামলার বাদী আব্দুল মালেক ফকির (৭২) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি সজীব ও সুমন তার ছেলে ওয়াসিম উদ্দিন মামুন ও ছেলের বন্ধু আরিফুল ইসলামকে পিডিবি জেটিঘাটের টেন্ডার ড্রপ (দরপত্র জমা) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে মালেক ফকিরের ছেলে জানায় তার বাবা বিগত ১০ বছর ধরে টেন্ডার ড্রপ করে আসছে সেও ড্রপ করেছে।

এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ের আসামিরা কাপ্তাই নতুন বাজার বণিক সমিতি কার্যালয়ের সামনে বাদীর ছেলে ও তার বন্ধুকে দা, ছোরা, লাঠি দিয়ে জখম করে। আসামিদের হামলায় বাদীর ছেলে ও তার বন্ধুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আসামিরা প্রকাশ্যে এ ঘটনায় মামলা মোকাদ্দমা করলে খুন করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয় বলেও উল্লেখ রয়েছে এজাহারে।

সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শফিউল আলম মিঞা বলেন, বিজ্ঞ আদালত এক আসামির ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং আরেক আসামির ৩ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। মামলার প্রথম আসামি সজীব মারা যাওয়ার কারণে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তবে মামলায় মোট ১১ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকলেও দুই জনের সাজা হয়েছে এবং একজন মৃত্যুজনিত কারণে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

প্রতিনিধি/এসএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন