পটুয়াখালীর দুমকিতে চাঁদা না পেয়ে সঞ্জয় কুমার রায় নামে এক আইনজীবীর চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবুল হোসেন সিকদার, ইউনুস সিকদার ও খোকন সিকদারের তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। একই সাথে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আইনজীবীর ওপর হামলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে দুমকি উপজেলার, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন দুমকি-বাউফল মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে এই ঘটনা ঘটে। এনিয়ে মারধরের শিকার আইনজীবীর পিতা সুভাষ চন্দ্র বাদী হয়ে দুমকি থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী আইনজীবী জানান, সঞ্জয় কুমার ও অভিযুক্তরা প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই পথ ব্যবহার করে চলাচল করে আসছেন। কিন্তু বাবুল সিকদার, ইউনুস সিকদার, খোকন সিকদাররা ওই পথ ব্যবহারের জন্য চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এনিয়ে বিভিন্ন সময় সঞ্জয় কুমারকে তার পথ অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন।
আইনজীবীর অভিযোগ, ঘটনার দিন দুপুরের দিকে বাবুল সিকদার ও তার দুই ভাই সঞ্জয়ের চলাচলের পথে ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করে তার চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সঞ্জয়, তার বাবা সুভাষ চন্দ্র ও ছোট ভাই মৃনাল কুমার রায়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বাবুল একটি ইট দিয়ে সঞ্জয়ের মুখে আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন। একই সঙ্গে সঞ্জয়ের বাবা সুভাষ ও তার ছোট ভাইও গুরুতর জখম হন।
সুভাষ চন্দ্র অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাবুল সিকদার এই পথ আমাদের ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিয়ে আসছেন। এবার তারা দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করতে চাইলে আমরা বাধা দেই। এ সময় হামলা করে আমাদের আহত করা হয়। আমরা এর বিচার চাই।
মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বাবুল হোসেন সিকদার ঢাকা মেইলকে বলেন, আমার জায়গায় আমি দেয়াল দিয়েছি। দাগ, খতিয়ান সব আমার নামে তারা শুধু শুধু ঝামেলা করে।
বিজ্ঞাপন
ইট দিয়ে মুখে আঘাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, দেয়াল থেকে ইট খুলতে গিয়েই তিনি মুখে আঘাত পেয়েছেন। এতে তার মুখ ফেটে গেলে থানায় অভিযোগ করেন। আমিও থানায় অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নূরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাতে পারবো।
শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আ. ছালাম বলেন, মারধরের ঘটনা শুনছি। আমি বরিশাল ডাক্তার দেখাতে এসেছি। পরে জেনে বিস্তারিত জানাবো।
এদিকে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিনিধি/এইউ