নীলফামারীর জলঢাকায় এক সপ্তম শ্রেণির মাদরাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে এক বখাটে।
রোববার (৯ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
বিজ্ঞাপন
নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা একজন কাটাপানের দোকান ব্যবসায়ী। তিনি প্রতিদিনের মতো পাশের বাজারে দোকান করতে যান। এই সুযোগে একই এলাকার এক বখাটে বাড়িতে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা ও গাল কেটে দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফা মঞ্জুর ও ওসি মোক্তারুল আলম। পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি।
বিজ্ঞাপন
ওসি মোক্তারুল আলম জানান, ঘটনার তদন্তের স্বার্থে আসামির (বখাটের) নাম বলা যাচ্ছে না। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, ধর্ষণে ব্যর্থ ছুরি দিয়ে মেয়েটির গালে ও গলায় আঘাত করা হয়েছে। স্থানীয়রা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আসামিকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মেয়েটির পরিবারের লোকজন রংপুরে অবস্থান করায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।
টিবি