শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিমানের আরও এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:০১ পিএম

শেয়ার করুন:

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বিমানের আরও এক কর্মকর্তা প্রত্যাহার

বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় বিমানের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার নাম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ার। তিনি বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইক্যুইপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। এছাড়াও নিরাপত্তা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাতে বিমানের ব্যবস্থাপক পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, সম্প্রতি এক কর্মকর্তাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তারা সকলেই কারাগারে রয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত করছে ডিবি। এখনো চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়নি।

>> আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে চীন ফেরতদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ

জানা গেছে, সদ্য প্রত্যাহার হওয়া এই কর্মকর্তা প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এ ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ডিসেম্বরে বিমানের ইলেকট্রিশিয়ান, মেকানিক, ওয়েল্ডার, পেইন্টার, অপারেটরস এবং টেইলার্সসহ ১০টি পদে নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যায়। হাতেনাতে বিষয়টির প্রমাণ পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পরীক্ষার দিন সকালে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে। পরে আরও কয়েক দফায় অভিযান চালিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।


বিজ্ঞাপন


পরে ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় বিমানের সাবেক এমডিসহ তার অফিসে কর্মরত কর্মচারীরা ছাড়াও বিমানের এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটিতে যারা জড়িত ছিলেন প্রত্যেকেই জড়িত। প্রশ্ন ফাঁসকারীরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জমি এবং টাকা-পয়সা নেওয়ার শর্তে তাদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেয়। এরই অংশ হিসেবে প্রশ্নপত্রের ছবি মোবাইলে তুলে তা বাইরে ফটোকপি করে পরীক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।

এ ঘটনা প্রকাশে আসার পরপরই বিমানের সাবেক এমডি যাহিদ হোসেনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবশেষ বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিস ইক্যুইপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপককে প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো।

এমআইকে/আইএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর