বাস-ট্রেনের মতো বিমানেও মালামাল বহন করা যায়। বিশেষ করে ব্যাগপত্র বা লাগেজ। ক্ষেত্র বিশেষে কিছু ভারী মালামালও বহন করার সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি এয়ারলাইন্সের টিকিট প্রতি যাত্রী কত কেজি ওজনের লাগজে সঙ্গে নিতে পারবেন তা নির্ধারিত। কোন এয়ারলাইন্স ২০ কেজি আবার কোন এয়ারলাইন্স ৪০ কেজি পর্যন্ত লাগেজ বহনের সুবিধা দেয়।
নির্ধারিত ওজনের অতিরিক্ত ব্যাগ নিলে আপনাকে কেজি প্রতি অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে অথবা লাগেজে থেকে অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফ্লাইটে উঠতে হবে।
বিজ্ঞাপন
লাগজের অতিরিক্ত ওজনের জন্য কেজি প্রতি চার্জও এয়ারলাইন্স ভেদে বিভিন্ন রকমের।
আরও পড়ুন: বিমানের দাম কত?
বাংলাদেশ বিমানে লাগেজ বহন
বাংলাদেশের পাতাকাবাহী বাংলাদেশ বিমান তিন ক্যাটাগরিতে লাগেজ বা মালামাল বহনের সুযোগ দেয়। বিজনেস ক্লাশের যাত্রীরা
সর্বোচ্চ ৩০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারবেন। এই ৩০ কেজি মাল দুইটি ব্যাগে বহন করা যাবে। এসব মাল বা ব্যাগ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৬২ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না।
বিজ্ঞাপন
বিমানে ইকোনোমি ক্লাশের যাত্রীরা সর্বোচ্চ ২০ কেজি মালমাল বহন করতে পারবেন। এই ২০ কেজি মাল দুইটি ব্যাগে বহন করা যাবে। এসব মাল বা ব্যাগ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ৬২ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না।
শিশুদের ক্ষেত্রে তারা ১০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহনের সুযোগ পাবে। তাদের ব্যাগের আকার দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে ৪৫ ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না।
বিমানে জায়গা থাকা সাপেক্ষে ডেকে শিশুদের বহনকারী স্টেলারও নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে লাগেজ বহন
বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ডোমেস্টিক ফ্লাইটে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে লাগেজ বহনের সুযোগ দেয়।
আরও পড়ুন: যেসব জিনিস আনতে বিমানবন্দরে শুল্ক দিতে হবে না
প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীরা চেক ইন লাগেজ হিসেবে সর্বোচ্চ ২০ কেজি মালামাল বহন করতে পারেন। হাত ব্যাগ হিসেবে সর্বোচ্চ সাত কেজি বহন করতে পারেন। শিশুদের জন্যও ২০ কেজি লাগেজ পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়। হাত ব্যাগ হিসেবে সাত কেজি বহন করার সুযোগ আছে। এছাড়াও ইনফ্যান্ট বা অপ্রাপ্তবয়স্ক যাত্রীদের সর্বোচ্চ ১০ কেজি লাগেজ, ব্যাগ কিংবা মালামাল বহনের অনুমতি আছে।
নভোএয়ারে লাগেজ বহন
বেসরকারি উড়ান পরিচালনাকারী সংস্থা নভোএয়ার প্রত্যেক যাত্রীকে চেক ইন লাগেজ হিসাবে ২০ কেজি এবং হাত ব্যাগ হিসাবে ৭ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহনের সুযোগ দেয়। এর অতিরিক্ত প্রতি কেজি মালামালের জন্য আপনাকে ১০০ টাকা গুনতে হবে।
এজেড