উড়োজাহাজ বা বিমান নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। অনেকেই জানতে চান বিমানের জ্বালানি নিয়ে। বিমান কী ধরনের জ্বালানিতে চলে তা বুঝি অনেকেরই জানা নেই। পাশাপাশি প্রতি লিটার জ্বালানিতে একটি উড়োজাহাজ কত দূর ওড়ে তাও জানার আছে।
গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলের মাইলেজ সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা আছে। কিন্তু উড়োজাহাজ বা বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে বেশিরভাগ মানুষ জানেন না। সাধারণত মাইলেজ বলতে আমরা বুঝি এক লিটার জ্বালানি পুড়িয়ে একটি মোটরযান কত কিলোমিটার পথ চলতে পারে। আরও সহজ করে বললে এক লিটার জ্বালানিতে একটি গাড়ি যতটুকু পথ চলতে পারে সেটাই তার মাইলেজ।
বিজ্ঞাপন
অনেকেই জানতে চান বিমান কেমন মাইলেজ দেয়। বিমানের মাইলেজ সম্পর্কে জানার আগে জানুন, এটা চালাতে কী ধরনের জ্বালানি লাগে।
বিমানের জ্বালানি জেট ফুয়েল নামে পরিচিত। এর আরও নাম আছে, যেমন-এভিয়েশন ফুয়েল, এভিয়েশন গ্যাস, বায়ো ফুয়েল ইত্যাদি।
বেশিরভাগ উড়োজাহাজ চলে জেট ফুয়েল দিয়ে। তবে বিমানে কোন ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করা হবে তা নির্ভর করে ইঞ্জিনের মডেলের ওপর। এক এক ধরনের ইঞ্জিনে এক এক ধরনের জ্বালানি ব্যবহৃত হয়।
এছাড়াও আরেকটি বিষয় আছে। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি বিমান কোন অ্যাল্টিটিউটে বা উচ্চতায় উড়বে তার ওপর নির্ভর করে জ্বালানি ভরা হয়।
বিজ্ঞাপন
জানলে অবাক হবেন পৃথিবীর বিখ্যাত বোয়িং ৭৪৭ মডেলের বিমান চলে কেরোসিনে। কেরোসিনের ফ্রিজিং পয়েন্ট মাইনাস ৪০ ডিগ্রি থেকে মাইনাস ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে হাই অ্যাল্টিটিউটে এই জ্বালানি জমে যায় না।
এবার বোয়িংয়ের জ্বালানির খরচ জেনে নেওয়া যাক। বোয়িং ৭৪৭ এবং ৭৭৭ মডেলের বিমানের ইঞ্জিনে প্রতি চার সেকেন্ডে এক লিটার জ্বালানি লাগে। এর জন্য প্রতি এক সিগনেচার লিটার করে জ্বালানি খরচ হয়। বোয়িং বিমানের এক কিলোমিটার দূরত্ব যেতে ১২ লিটার কেরোসিনের প্রয়োজন হয়।
আশার কথা হচ্ছে বোয়িংয়ে প্রচুর যাত্রী বহন করা সম্ভব। এতে একসঙ্গে ৪৫৬ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারেন। হিসাব করলে দেখা যায়, একজন যাত্রীর এক কিলোমিটার যেতে ০.০৪ লিটার জ্বালানির প্রয়োজন।
যদি ফ্লাইট ১০ ঘণ্টার হয়ে থাকে তাহলে বিমানটির ১ লাখ ৫০ হাজার লিটার জ্বালানির প্রয়োজন হবে।
এজেড