অনেকেই ঘরে বসে অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটেন। অনলাইনে এখন যা-ই করবেন, তাতেই নজর রেখে বসে আছে স্ক্যামাররা। সে হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে এয়ারলাইন টিকিট বুকিং সবেতেই। এয়ারলাইন টিকিট জালিয়াতি নতুন নয়। বেশ সাধারণই বলা যেতে পারে। শীতকালে এই জালিয়াতি আরও অনেকটা বেড়ে যায়। আসলে, এই সময়ে সারা বিশ্বে বড়দিন এবং নববর্ষের ছুটি চলে, যার কারণে অনেকে ফ্লাইটে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। ফলে সেটাকেই কাজে লাগায় প্রতারকরা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিমানের টিকিট কখন কাটলে সস্তায় পাওয়া যায়?
ফ্লাইট বুক করার সময় সতর্ক হোন
ইন্টারনেটের যুগে, বহু মানুষই কোম্পানির ওয়েবসাইট বা অ্যাপের সাহায্যে এয়ারলাইন টিকিট বুক করে। আর সেখানেই প্রতারণার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এয়ারলাইন টিকিট বুক করার সময় প্রতারণার শিকার না হতে চাইলে কিছু বিশেষ বিষয়ে নজর রাখুন।
বিজ্ঞাপন
খুব বেশি অফারে বিশ্বাস করবেন না
ফ্লাইটের টিকিটের দাম খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশি হয়, ট্রেনের তুলনায়। ফলে আপনি যদি কোথাও দেখেন, ট্রেনের টিকিটের দামে ফ্লাইটের টিকিট বুকিং হচ্ছে, তবে সেই ফাঁদে ভুলেও পা দেবেন না। কারণ সেই সব লিংক ক্লিক করা মানেই আপনার সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য প্রতারকদের কাছে চলে যায়।
অচেনা ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলুন
ভুয়া বা নকল কোনও ওয়েবসাইট থেকে ভুলেও ফ্লাইটের টিকিট বুক করবেন না। শুধু ফ্লাইট বলে নয়, অচেনা কোনও ওয়েবসাইট থেকে ট্রেনের টিকিট বুক করলেও আপনি বিরাট বিপদে পড়বেন। যদি কোনও ওয়েবসাইট বা অ্যাপের এজেন্ট আপনাকে কল করে বলে যে এয়ারলাইন ফ্লাইট টিকিট বুক করার জন্য সীমিত সময় বাকি আছে, এতে আপনি অনেক অফার পাবেন। তবে আপনার বুঝতে হবে আপনি প্রতারণার শিকার হতে চলেছেন।
তখনই ফোনটি কেটে সেই নির্দিষ্ট অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটটি চেক করে নিন। সব সময় মনে রাখবেন, আপনি যখনই ফ্লাইটের টিকিট বুক করবেন, যে নির্দিষ্ট কোম্পানির করছেন, তার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেই করবেন।
এজেড