বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

Automobile

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং: অপার সম্ভাবনাময় পেশা

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

automobiles

পেশা হিসেবে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের কদর বেড়েই চলেছে। কেননা, দেশে এখন বেশ কয়েকটি কোম্পানি গাড়ি উৎপাদন করছে। বিদেশে প্রতিষ্ঠানগুলোও এদেশে কারখানা খুলে গাড়ি সংযোজন করছে। এছাড়াও গাড়ির সার্ভিস সেন্টারগুলোতেও প্রয়োজন দক্ষ অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের। দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। এই পেশায় সফল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক। 

আরও পড়ুন: এই প্রাইভেট কারের মাইলেজ সবচেয়ে বেশি


বিজ্ঞাপন


অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার কোথায় কাজ করেন?

গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
গাড়ি উৎপাদনকারক প্রতিষ্ঠান।
কার সার্ভিস সেন্টার।
পরিবহন প্রতিষ্ঠান।

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ কী?

গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের ডিজাইন তৈরি করা।
গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও কাঁচামাল নির্ধারণ করা।
গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের সম্ভাব্য খরচের হিসাব তৈরি করা।


বিজ্ঞাপন


গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে ও তার সমাধান কীভাবে করা যায়, তার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা।
গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের জন্য দরকারি যন্ত্রপাতি স্থাপন করা ও সেগুলো নিয়মিত পরীক্ষা করা।
গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণের যাবতীয় কারিগরি কাজ তদারকি করা।
নির্মিত গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশে সমস্যা আছে কি না, তা পরীক্ষা করা।

গাড়ির সেলস ও সার্ভিসিং বিভাগেও বহু অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার কাজ করে থাকেন। এক্ষেত্রে মূলত কাস্টমারের প্রয়োজন অনুযায়ী পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেন তারা।

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। তবে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর বিদেশে উচ্চতর শিক্ষা নেয়া সম্ভব।

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়?

গাড়ির ইঞ্জিন ও অন্যান্য কারিগরি দিক সম্পর্কিত জ্ঞান।
গাড়ির ডিজাইন সম্পর্কিত জ্ঞান।
গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাণ ও মেরামতের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের দক্ষতা।
গাণিতিক দক্ষতা।

নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –

সৃজনশীল উপায়ে ও যৌক্তিকভাবে সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
বিশ্লেষণী ক্ষমতা, যা খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণে সাহায্য করতে পারে।
অন্যদের সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকা।
বিভিন্ন ধরনের কাজ একসাথে সামলানোর দক্ষতা।
বড় কারখানায় ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ করার মানসিকতা থাকা।

সেলস বিভাগে কাজ করতে হলে কোম্পানির সেলস পলিসি নিয়ে ধারণা থাকা আবশ্যক। এছাড়া সেলসে ভালো হতে হবে আপনাকে।

কোথায় পড়বেন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং?

ডিপ্লোমা কোর্সের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশে-সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।
শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউ।
মটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
মিরপুর পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট।
চিটাগাং টেকনিক্যাল কলেজ।
সাকিনা আজহার টেকনিক্যাল কলেজ।
বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (বিকেটিটিসি)।

অন্যদিকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর বিএসসি ডিগ্রি নেবার ব্যবস্থা আছে।

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক আয় কেমন?

সদ্য পাশ করা একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ার প্রতিষ্ঠানভেদে ১৫০০০ –৩০০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন।

হাতে-কলমে ৩ -৪ বছর কাজ শেখার পর একজন অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন সাধারণত ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বা তারও বেশি হতে পারে।

অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারের কর্মক্ষেত্র  যেমন হয়

অভিজ্ঞতা ও কাজ জানার উপর ক্যারিয়ার নির্ভর করে।

এন্ট্রি লেভেলে সাধারণত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ শুরু করতে পারবেন। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা সার্ভিসিং বিভাগের প্রধান হিসাবে নিয়োগ পাওয়া সম্ভব।

আপনার ভালো কাজ জানলে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ভালো আয়ের কাজ পাওয়া সম্ভব। এছাড়া অনেকে নিজেদের সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে আয়ের উৎস তৈরি করে থাকেন।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর