মোটরসাইকেল চালকদের জন্য মাইলেজ একটি বড় চিন্তার বিষয়। অনেকে ইঞ্জিনের অবস্থা, তেল বা ড্রাইভিং স্টাইলের দিকে নজর দিলেও টায়ারের প্রেশারকেও সমান গুরুত্ব দেন না। অথচ সঠিক টায়ার প্রেশার মাইলেজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। টায়ারের চাপ কম বা বেশি হলে শুধু জ্বালানি খরচই বাড়ে না, নিরাপত্তার ঝুঁকিও তৈরি হয়।
টায়ার প্রেশার কম হলে
বিজ্ঞাপন
টায়ারের ভেতরে বাতাস কম থাকলে রাস্তার সঙ্গে বেশি ঘর্ষণ তৈরি হয়।
ফলে ইঞ্জিনকে বাড়তি শক্তি ব্যয় করতে হয়, আর তাতে জ্বালানি খরচ বেড়ে যায়।
টায়ার দ্রুত গরম হয়ে যায় এবং ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে।

বিজ্ঞাপন
টায়ার প্রেশার বেশি হলে
টায়ারের মধ্যে অতিরিক্ত বাতাস ভরলে রাস্তার সঙ্গে টায়ারের গ্রিপ কমে যায়।
এতে ব্রেকিং সিস্টেমের কার্যকারিতা কমে যেতে পারে।
মাইলেজ সামান্য বাড়লেও (কারণ ঘর্ষণ কম হয়), নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়ে।
সঠিক টায়ার প্রেশারের সুবিধা
ইঞ্জিনের উপর চাপ কমে যায়, ফলে জ্বালানি খরচ কম হয়।
টায়ারের আয়ু বৃদ্ধি পায়।
বাইক চালানো হয় আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
মোটরসাইকেল নির্মাতারা যে সুপারিশকৃত টায়ার প্রেশার (সাধারণত সামনের টায়ার 28-32 PSI, পেছনের টায়ার 32-36 PSI) দেন, সেটিই মেনে চলা উচিত।
প্রতি সপ্তাহে একবার টায়ার প্রেশার মেপে দেখা ভালো।
দীর্ঘ ভ্রমণের আগে অবশ্যই টায়ার প্রেশার পরীক্ষা করা জরুরি।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট সময় পরপর বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল না বদলালে ইঞ্জিনের কোনো ক্ষতি হয়
মাইলেজ বাড়ানোর জন্য কেবল ভালো ইঞ্জিন তেল বা ধীরগতির ড্রাইভিং নয়, সঠিক টায়ার প্রেশারও সমান জরুরি। তাই জ্বালানি সাশ্রয় ও নিরাপদ যাত্রার জন্য টায়ারের বাতাসের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এজেড

