মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ওয়েল কেবল লুব্রিকেশন দেয়ার মাধ্যম নয়; এটি ইঞ্জিনের দীর্ঘায়ু, পারফরম্যান্স এবং সুরক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু অনেক ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট সময় বা কিমি পার হওয়ার পরও ওয়েল পরিবর্তন না করলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইঞ্জিন ওয়েলের গুরুত্ব
ইঞ্জিন ওয়েল মূলত চারটি কাজ করে:
লুব্রিকেশন: ইঞ্জিনের মুভিং পার্টসকে ঘষা থেকে রক্ষা করা।
তাপ নিয়ন্ত্রণ: ইঞ্জিন চলাকালীন অতিরিক্ত তাপ কমানো।
ক্লিনিং: ইঞ্জিনের ধুলো, কার্বন ও ময়লা ধরে রাখা।
বিজ্ঞাপন
সুরক্ষা: ইঞ্জিনের পার্টসের ক্ষয়, মরিচা ও করোশন থেকে রক্ষা।
ওয়েলই ইঞ্জিনকে সুস্থ রাখে এবং পারফরম্যান্স বজায় রাখে।

নিয়মিত ওয়েল না বদলালে সম্ভাব্য ক্ষতি
১. ঘষা ও ক্ষয় বৃদ্ধি
পুরানো ওয়েল লুব্রিকেশন ঠিকভাবে দিতে পারে না। ফলে পিস্টন, সিলিন্ডার, ক্র্যাঙ্কশাফটের ঘষা বেড়ে যায়।
২. তাপমাত্রা বৃদ্ধি
ওয়েল তাপ নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক। পুরানো বা নোংরা ওয়েল থাকলে ইঞ্জিন বেশি গরম হয়, যা পার্টসকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৩. পারফরম্যান্স কমে যাওয়া
মোটরসাইকেলের গতি ও এক্সিলারেশন কমে যায়।
ফুয়েল খরচ বৃদ্ধি পায়।
স্টার্ট করতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৪. ইঞ্জিনে করোশন ও মরিচা
ওয়েল নোংরা বা পুরানো হলে এতে অ্যাসিড ও ধুলো জমে, যা ইঞ্জিনের ভিতরের অংশকে ক্ষয় করতে পারে।
৫. বড় মেরামতির ঝুঁকি
সর্বোচ্চ ঝুঁকি হলো ইঞ্জিন ব্লক, সিলিন্ডার বা পিস্টনের স্থায়ী ক্ষতি। এ ধরনের ক্ষতি মোকাবিলা করতে ভারি মেরামতি বা সম্পূর্ণ ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হতে পারে।
নিয়মিত ওয়েল পরিবর্তনের সুপারিশ
পেট্রোল মোটরসাইকেল: ২,০০০–৩,০০০ কিমি অন্তর ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন।

ডিজেল বা বড় ইঞ্জিন: নির্মাতার নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবর্তন।
ওয়েল ফিল্টারও নিয়মিত পরিবর্তন করা জরুরি।
সময়মতো পরিবর্তন করলে ইঞ্জিন দীর্ঘস্থায়ী, শক্তিশালী ও কার্যক্ষম থাকে।
আরও পড়ুন: গরমে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল কি পাতলা হয়ে যায়?
নির্দিষ্ট সময় বা কিমি পার হওয়ার পরও ইঞ্জিন ওয়েল না বদলালে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনে স্থায়ী ক্ষতি, পারফরম্যান্স কমে যাওয়া এবং বড় মেরামতির ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিটি রাইডারকে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময়ে ওয়েল এবং ওয়েল ফিল্টার পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
এজেড

