গাড়ি চালানো অনেকের জন্য স্বাধীনতার প্রতীক, কিন্তু তা ঠিকভাবে শিখতে না পারলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। প্রাইভেট কার চালানো শেখার জন্য লার্নারস সনদ থাকা বাধ্যতামূলক, মেন্টর বা প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শেখা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো শিখলে নিরাপত্তা এবং দক্ষতা দুটাই নিশ্চিত করা যায়।
১. মেন্টর বা প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শেখা
বিজ্ঞাপন
প্রাইভেট কার চালানো শুরু করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ মেন্টরের তত্ত্বাবধানে শিখুন। গাড়ির ব্রেক, ক্লাচ, গিয়ার ও স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ করা শেখার জন্য এটি অপরিহার্য। একজন মেন্টর অভিজ্ঞতা ও নিরাপদ চালনার কৌশল শিখিয়ে দিতে পারবেন।

২. লার্নারস সনদ বাধ্যতামূলক
বিআরটিএ অনুযায়ী, লার্নারস সনদ ছাড়া গাড়ি চালানো আইনত অনুমোদিত নয়। সনদ পাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে এবং নির্ধারিত পরীক্ষা পাশ করতে হবে। লার্নারস সনদ থাকলে রাস্তায় চলাচলের সময় আইনগত সুরক্ষা পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
৩. সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের গুরুত্ব
সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে প্রাইভেট কার চালনার নিয়ম ও ট্রাফিক আইন শিখুন। এখানে নিরাপদে গাড়ি চালানো, রোড সিগন্যাল, পার্কিং কৌশল এবং জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করবেন তা শেখানো হয়।

৪. নিরাপদে গাড়ি চালানোর টিপস
সর্বদা সিট বেল্ট ব্যবহার করুন।
দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাবেন না।
রাস্তায় অন্যান্য যানবাহনের সাথে সুরক্ষা বজায় রাখুন।
মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো মনোযোগ বিভ্রান্তিকারী জিনিস ব্যবহার করবেন না।
নিয়মিত গাড়ির সার্ভিস এবং ব্রেক-লাইট চেক করুন।
আরও পড়ুন: বিএমডব্লিউর দামি গাড়ি কিনলেন তেলেগু সিনেমার নায়ক
প্রাইভেট কার চালানো শেখা শুধুই ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য নয়, বরং নিজের ও অন্যের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে মেন্টরের তত্ত্বাবধানে লার্নারস সনদ নিয়ে শিখলে নিরাপদ ও দক্ষ চালক হওয়া সম্ভব।
এজেড

