শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হাইব্রিড নাকি নন-হাইব্রিড গাড়ি কিনবেন?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

হাইব্রিড নাকি নন-হাইব্রিড গাড়ি কিনবেন?
পরিবেশবান্ধব হাইব্রিড গাড়ির কদর বেড়েছে।

হাইব্রিড গাড়ি হলো এমন একটি গাড়ি যা ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত মোটরের সমন্বয়ে কাজ করে। এটি একদিকে জ্বালানি দক্ষতা বাড়ায়, অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব। তবে, এর কিছু সীমাবদ্ধতাও আছে। নিচে হাইব্রিড গাড়ির প্রধান সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করা হলো। এরপর সিদ্ধান্ত আপনার, হাইব্রিড কিনবেন নাকি নন-হাইব্রিড গাড়ি কিনবেন

হাইব্রিড গাড়ির সুবিধা

জ্বালানি সাশ্রয়:

হাইব্রিড গাড়ি সাধারণ গাড়ির তুলনায় কম জ্বালানি ব্যবহার করে। কারণ ব্যাটারি থেকে পাওয়ার পেলে ইঞ্জিন কম কাজ করে, ফলে মাইলেজ উন্নত হয়।

পরিবেশ বান্ধব:

হাইব্রিড গাড়ি কম কার্বন ডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য দূষণকারী গ্যাস নির্গত করে, যা পরিবেশের জন্য ভালো।


বিজ্ঞাপন


car

কম শব্দ:

ব্যাটারি চালিত সময় গাড়ি বেশ নিরিবিলি থাকে, তাই নগর এলাকায় চালনার সময় শব্দ কম হয়।

স্টপ-স্টার্ট সিস্টেম:

ট্রাফিক জ্যামে গাড়ি থামার সময় ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে জ্বালানি বাঁচে এবং দূষণ কমে।

ট্যাক্স ও প্রণোদনা সুবিধা:

অনেক দেশ ও অঞ্চলে হাইব্রিড গাড়ির জন্য বিশেষ কর ছাড়, প্রণোদনা বা সুবিধা দেয়া হয়।

কম ব্যাটারি ডিপেন্ডেন্সি:

পুরোপুরি ইলেকট্রিক গাড়ির তুলনায় হাইব্রিড গাড়ি ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল নয়, তাই পরিসেবা বা চার্জিং সমস্যা কম হয়।

A1-040824-hybrids-cutler

হাইব্রিড গাড়ির অসুবিধা

উচ্চ মূল্য:

হাইব্রিড গাড়ির দাম সাধারণ পেট্রোল বা ডিজেল গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি। কারণ এতে উন্নত প্রযুক্তি ও ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়।

রক্ষণাবেক্ষণ খরচ:

বিশেষত ব্যাটারি ও ইলেকট্রনিক সিস্টেমের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়বহুল হতে পারে এবং সময়ের সঙ্গে ব্যাটারি পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে।

জটিল প্রযুক্তি:

গাড়ির প্রযুক্তিগত অংশগুলো জটিল হওয়ায় মেকানিকদের বিশেষ দক্ষতা ও যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়, যা সবার কাছে সহজলভ্য নাও হতে পারে।

ভারী ওজন:

ব্যাটারি ও অতিরিক্ত যন্ত্রাংশের কারণে গাড়ির ওজন বেশি হয়, যা কিছু ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলতে পারে।

সীমিত চার্জিং অবকাঠামো:

যদিও হাইব্রিড গাড়ির চার্জিংয়ের চাপ কম, তবুও অনেক এলাকায় উপযুক্ত চার্জিং স্টেশন না থাকায় সমস্যা হতে পারে (বিশেষ করে প্লাগ-ইন হাইব্রিড ক্ষেত্রে)।

পাওয়ার আউটপুট:

কিছু হাইব্রিড গাড়ির ইঞ্জিন ও মোটরের পাওয়ার সামগ্রিকভাবে সাধারণ পেট্রোল গাড়ির তুলনায় কম হতে পারে, যা কিছু ব্যবহারকারীর জন্য অসুবিধাজনক।

আরও পড়ুন: যেসব লক্ষণে বুঝবেন মোটরসাইকেলের ব্যাটারির আয়ু শেষ

হাইব্রিড গাড়ি বর্তমান পরিবেশ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে একটি ভালো বিকল্প হলেও, উচ্চ মূল্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বিবেচনা করে তা কেনা উচিত। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে ধীরে ধীরে হাইব্রিড গাড়ির বাজার বাড়ছে, তাই ভবিষ্যতে এর সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর