বর্ষাকালে বা বন্যা পরবর্তী সময়ে অনেক রাস্তায় পানি জমে থাকে। মোটরসাইকেল চালকদের জন্য এটি হতে পারে মারাত্মক বিপদের কারণ। নিচে পানি জমা রাস্তায় মোটরসাইকেল চালানোর আগে ও পরে কী কী করণীয়, তা তুলে ধরা হলো—
চালানোর আগে করণীয়:
রাস্তার অবস্থা যাচাই করুন:
যে রাস্তায় পানি জমেছে, তা কতটা গভীর—এটি প্রথমেই অনুমান করুন। অন্য গাড়ির গতিবিধি দেখে ধারণা নিন। চেষ্টা করুন পানি ৮–১০ ইঞ্চির বেশি হলে সে পথে না যেতে।
এক্সহস্ট পাইপ সাবধানে রাখুন:
যতদূর সম্ভব বাইকের এক্সহস্ট যাতে পানির নিচে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পানি ঢুকে গেলে ইঞ্জিন হাইড্রোলক করতে পারে—যা বিপজ্জনক এবং ব্যয়বহুল ক্ষতি।
বিজ্ঞাপন

লো-গিয়ারে ধীরে চলুন:
ওয়াটারক্রসিংয়ের সময় ১ম বা ২য় গিয়ারে ক্লাচ ছাড়া ধীরে চলুন। থামাবেন না, যাতে পানির চাপ বাইকে না ঢোকে।
ইলেকট্রিক অংশ বাঁচিয়ে রাখুন:
বাইক চালুর আগে নিশ্চিত হোন যে ব্যাটারি, ফিউজ বক্স বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক পার্ট পানিতে না ভিজেছে।
চালানোর পর করণীয়:
বাইক সম্পূর্ণ শুকান:
জমে থাকা পানি থেকে বাইক তুলে আনার পর যত দ্রুত সম্ভব বাইক শুকিয়ে ফেলুন। বিশেষ করে চেইন, ব্রেক এবং এক্সহস্ট অংশে জল থাকলে সমস্যা হতে পারে।

চেইন ওয়ার করা ও লুব্রিকেশন:
পানিতে ভেজা চেইন দ্রুত জং ধরে। তাই প্রথমে পরিষ্কার করে ভালোভাবে লুব্রিকেট করুন।
ব্রেক পরীক্ষা করুন:
পানিযুক্ত রাস্তা থেকে আসার পর ব্রেক ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা চেক করুন। প্রয়োজনে ব্রেক প্যাড শুকিয়ে নিন।
এয়ার ফিল্টার পরীক্ষা করুন:
পানিতে ডুবে থাকলে এয়ার ফিল্টারে পানি ঢুকতে পারে। ইঞ্জিনে সমস্যা হতে পারে। তাই এটি খুলে পরীক্ষা করে শুকিয়ে বা পরিষ্কার করে আবার লাগান।
সার্ভিসিং প্রয়োজন হতে পারে:
যদি পানি ঢুকে গিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়, তবে নিজে স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা না করে দ্রুত সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করুন।
যা এড়ানো উচিত:
পানি ঢোকার পর জোর করে বাইক চালু করার চেষ্টা করবেন না
হেডলাইট বা টেইল লাইটে পানি জমে থাকলে ফেলে দেবেন না—শুকিয়ে নিন
আরও পড়ুন: বৃষ্টির দিনে কোন ধরনের হেলমেট ও রেইনগিয়ার ব্যবহার করবেন
রাস্তায় হুট করে গতি বাড়াবেন না—পানির নিচে গর্ত থাকতে পারে
স্মার্ট টিপস:
বৃষ্টি বা জলাবদ্ধতার দিনে রেইনকভার ব্যবহার করুন
ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভস ও বুট পরে চালালে আরাম এবং নিরাপদ থাকবে
প্রয়োজনে বাইকে ইনস্টল করুন হাই এক্সহস্ট বা এক্সটেনশন পাইপ
এজেড

