বর্ষার দিনে বাইক চালানো রোমাঞ্চকর হলেও যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে ভোগান্তি ডেকে আনতে পারে। এই সময় সঠিক হেলমেট ও রেইনগিয়ার বেছে নেওয়া নিরাপত্তা ও আরামের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নিই কীভাবে বাছবেন সেরা গিয়ারগুলো:
হেলমেট: অ্যান্টি-ফগ ভিজার বাধ্যতামূলক
অ্যান্টি-ফগ ভিজার: বৃষ্টির সময় হেলমেটের কাচ ঘোলা হয়ে যায়, যা দৃষ্টিশক্তি ব্যাহত করে। তাই অ্যান্টি-ফগ কোটেড বা পিনলক-রেডি ভিজার বেছে নিন।
ফুল-ফেস হেলমেট: খোলা হেলমেটের তুলনায় ফুল-ফেস হেলমেট বৃষ্টিতে মুখ ও মাথাকে ভালোভাবে সুরক্ষা দেয়।
ভেন্টিলেশন সিস্টেম: ভিজার ঘোলা হওয়া ঠেকাতে ভালো ভেন্টিলেশন সিস্টেম থাকাটা জরুরি।

বিজ্ঞাপন
রেইনসুট: পানিরোধী এবং আরামদায়ক
১০০% ওয়াটারপ্রুফ মেটেরিয়াল: নাইলন বা পলিয়েস্টার ভিত্তিক রেইনসুটে জল ঢোকার সুযোগ থাকে না।
ফুল-কভারেজ ডিজাইন: মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢাকে এমন রেইনসুট বেছে নিন।
রিফ্লেকটিভ স্ট্রিপ: রাতে বা কম আলোতে দৃশ্যমান থাকার জন্য রেইনসুটে রিফ্লেকটিভ উপাদান থাকা জরুরি।

গ্লাভস: হাত শুকনো ও সুরক্ষিত রাখে
ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভস: বর্ষায় চামড়ার গ্লাভস ব্যবহার এড়ানো উচিত। সিন্থেটিক ওয়াটারপ্রুফ গ্লাভস বেছে নিন।
নন-স্লিপ গ্রিপ: হ্যান্ডেল ধরা সহজ রাখতে গ্লাভসে অ্যান্টি-স্লিপ ফিচার থাকা ভালো।
রেইন বুট বা ওভার-শ্যু কভার
ওয়াটারপ্রুফ বুট: পা ভিজে গেলে ঠান্ডা লাগা বা ছত্রাক সংক্রমণ হতে পারে। তাই ওয়াটারপ্রুফ বুট বা বুট-কভার ব্যবহার করুন।
সোল গ্রিপ: পিচ্ছিল রাস্তায় যাতে পা না স্লিপ করে, তার জন্য গ্রিপি সোল বেছে নেওয়া দরকার।
অতিরিক্ত কিছু টিপস
হেলমেটের নিচে ওয়াটারপ্রুফ ব্যালাক্লাভা ব্যবহার করুন।
বাইকে অতিরিক্ত রেইন কভার (যেমন: সিট কাভার) রাখুন।
রেইন গিয়ার ব্যবহারের পর অবশ্যই শুকিয়ে রাখুন, নইলে দুর্গন্ধ বা ফাঙ্গাস হতে পারে।
আরও পড়ুন: বর্ষায় বাইক দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক করণীয় ও প্রাথমিক চিকিৎসা
বৃষ্টির দিনে বাইক চালানোর জন্য অ্যান্টি-ফগ হেলমেট, সম্পূর্ণ ওয়াটারপ্রুফ রেইনসুট, সুরক্ষিত গ্লাভস ও বুট—এই চারটি জিনিসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সুরক্ষাই নয়, এগুলো আপনাকে আরামদায়ক অভিজ্ঞতাও দেবে। সঠিক গিয়ারেই রেইন রাইডিং হবে নিরাপদ ও উপভোগ্য।
এজেড

