শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মোটরসাইকেলে প্রতি মাসে ১০০০ টাকার জ্বালানি সাশ্রয় করার উপায়

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৪ এএম

শেয়ার করুন:

motorcyle

জ্বালানির ক্রমবর্ধমান দামের কারণে মোটরসাইকেল চালকদের বড় এক চিন্তার নাম হলো মাস শেষে তেল খরচ। তবে একটু সচেতন হলেই আপনি চাইলে প্রতি মাসে জ্বালানিতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারেন—তা কোনো বাড়তি কষ্ট ছাড়াই। কীভাবে? চলুন জেনে নিই কিছু কার্যকর কৌশল।

নিয়মিত মেইনটেনেন্স করান


বিজ্ঞাপন


আপনার বাইক ঠিকঠাক কাজ না করলে তা বেশি জ্বালানি খরচ করবে। ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন, এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার ও চেইন ঠিক রাখা ইত্যাদি নিয়মিত করলে ইঞ্জিনে চাপ কম পড়ে এবং মাইলেজ বাড়ে। প্রতি ২০০০-৩০০০ কিমি পরপর সার্ভিসিং করানো সবচেয়ে ভালো।

ধীর গতিতে চালান

অনেকেই বাইক চালানোর সময় হঠাৎ দ্রুত গতি তোলেন, আবার হঠাৎ ব্রেক করেন। এতে ইঞ্জিন বেশি তেল খরচ করে। একটানা মাঝারি গতিতে (৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা) চালালে বাইকের জ্বালানি খরচ অনেক কমে যায়।

অতিরিক্ত ওজন বহন করবেন না


বিজ্ঞাপন


বাইকে বাড়তি ওজন থাকলে ইঞ্জিনের ওপর চাপ পড়ে, ফলে বেশি তেল লাগে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা অতিরিক্ত যাত্রী এড়িয়ে চললে তেলের খরচ কমে।

টায়ারের বাতাস ঠিক রাখুন

টায়ারের বাতাস কম হলে বাইকের ঘর্ষণ বেড়ে যায়, ফলে ইঞ্জিনকে বেশি খাটতে হয় এবং জ্বালানি বেশি খরচ হয়। প্রতি সপ্তাহে একবার টায়ারের বাতাস ঠিক আছে কি না যাচাই করে নিন।

bike2

ক্লাচ ও ব্রেকের যথাযথ ব্যবহার

অনেকে প্র‍য়োজন ছাড়াই ক্লাচ চেপে রাখেন বা বারবার অকারণে ব্রেক করেন। এতে তেল বেশি খরচ হয়। সঠিক সময়ে গিয়ার পরিবর্তন, ক্লাচ ছাড়া চালানো এবং ধীরে ব্রেক ব্যবহার করলে মাইলেজ বাড়ে।

ট্রাফিক লাইটে ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন

যদি জানেন সিগনালে ৩০ সেকেন্ডের বেশি দাঁড়াতে হবে, তাহলে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিন। প্রতিদিন ৫–১০ মিনিট করে ইঞ্জিন বন্ধ রাখলেও মাস শেষে উল্লেখযোগ্য তেল সাশ্রয় হয়।

নির্ভরযোগ্য পেট্রোল পাম্প থেকে তেল নিন

সব পাম্পে জ্বালানির মান সমান নয়। নিম্নমানের তেলে গতি কমে যায়, ইঞ্জিনে ক্ষতি হয় এবং তেল বেশি খরচ হয়। নির্ভরযোগ্য ও পরিচিত পাম্প থেকে তেল নিলে ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়।

প্রয়োজন ছাড়া বাইক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন

ছোট দূরত্বে বা এমন জায়গায় যাওয়া যেখানে হাঁটা সম্ভব, সেখানে বাইক ব্যবহার না করাই ভালো। এতে শুধু তেলই নয়, বাইকের দীর্ঘমেয়াদি আয়ুও বাড়ে।

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল সার্ভিসিং নিজেই করতে চান? জানুন কীভাবে করবেন

সাপ্তাহিক পরিকল্পনা করে চলাফেরা করুন

যদি সপ্তাহের বাজার, অফিস বা অন্যান্য গন্তব্য একত্রে পরিকল্পনা করে করা যায়, তবে আলাদা আলাদা যাতায়াতের প্রয়োজন পড়ে না। এতে মোট জ্বালানি খরচ কমে যায়।

মাইলেজ হিসাব রাখুন

আপনার বাইকের প্রতি লিটারে কত কিমি যাচ্ছে, তা রেকর্ড করলে বুঝতে পারবেন কোথায় তেল খরচ বাড়ছে। সেই অনুযায়ী অভ্যাস পরিবর্তন করাও সহজ হয়।

বাইক চালানোর কিছু সহজ অভ্যাস বদলেই আপনি মাসে জ্বালানিতে ১০০০ টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারেন। শুধু নিজের অর্থ বাঁচাবেন না, পরিবেশের উপরেও চাপ কমাবেন। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ, সচেতন চালনা আর একটু পরিকল্পনায় বদলে যেতে পারে আপনার মাসিক খরচের হিসাব।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর