ভারতের রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত মানুষ। বিশেষ করে দুই চাকার যানবাহনের চালক ও আরোহীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদি সরকার দেশটিতে চালু করতে যাচ্ছে এক গুরুত্বপূর্ণ নতুন নিয়ম—নতুন মোটরসাইকেল বা স্কুটার কিনলেই ক্রেতাকে দুইটি আইএসআই সনদপ্রাপ্ত হেলমেট দেওয়া বাধ্যতামূলক।
এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক মন্ত্রী নিতিন গড়করী। তিনি জানান, এই উদ্যোগ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিজ্ঞাপন
নতুন নিয়মে কী থাকছে?
প্রতিটি নতুন দুই চাকার গাড়ি কিনলেই ডিলারকে দুইটি নিরাপদ, আইএসআই মানসম্পন্ন হেলমেট দিতে হবে।
চালক ও পেছনের যাত্রীর জন্য আলাদা হেলমেট নিশ্চিত করতে হবে।
নিয়মটি সারা দেশে একযোগে কার্যকর হবে।
বিজ্ঞাপন
হেলমেট পরলেই প্রাণ বাঁচে – গবেষণায় প্রমাণ
এক গবেষণায় দেখা গেছে, হেলমেট পরলে মাথায় গুরুতর আঘাতের ঝুঁকি ৪২% এবং মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৯% হ্রাস পায়। এছাড়া গবেষণা বলছে, প্রতিবছর দুই চাকার যান দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যান, তার অর্ধেকই হেলমেট না পরার কারণে।
ভারতের মন্ত্রী গড়করী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুহার অর্ধেকে নামিয়ে আনা। হেলমেট ব্যবহার এই যুদ্ধে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর অস্ত্র।

এই নিয়ম সফল করতে নেওয়া হবে আরও কিছু উদ্যোগ:
বিদ্যালয়, কলেজ, সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো হবে
ট্রাফিক পুলিশের নজরদারি জোরদার করা হবে
সড়কের গুণগত মান উন্নয়নের কাজ একযোগে চলবে
সমালোচনার মুখেও বাস্তবায়নের চেষ্টা
নতুন নিয়মকে সাধুবাদ জানালেও কিছু প্রশ্ন উঠেছে—
শুধু হেলমেট দেওয়া নয়, ব্যবহারে বাধ্য করা বেশি জরুরি।
আরও পড়ুন: ত্রুটি দূর করে ফের বাজারে ফিরল রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪৪০
গ্রামীণ এলাকাগুলোতে হেলমেট ব্যবহারে এখনো উদাসীনতা রয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন, সড়কের বেহাল অবস্থা দুর্ঘটনার বড় কারণ—সে বিষয়েও সমান গুরুত্ব প্রয়োজন।
মোদি সরকারের এই নতুন নিয়ম নিঃসন্দেহে একটি সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে শুধু আইন করলেই চলবে না, প্রয়োজন জনসচেতনতা, কঠোর বাস্তবায়ন ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন।
যদি চালক এবং আরোহী উভয়েই হেলমেট ব্যবহারে অভ্যস্ত হন, তাহলে রাস্তাগুলো কিছুটা হলেও নিরাপদ হয়ে উঠবে।
এজেড

