বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শুধু চলাচলের একটি মাধ্যম নয়, অনেকের জীবিকার সঙ্গী। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সম্প্রতি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। বিশেষ করে শহরের ব্যস্ত এলাকা, মার্কেট, হাসপাতাল ও বাসার সামনে পার্ক করা বাইক সহজ টার্গেটে পরিণত হয়। তাই কিছু কার্যকর সতর্কতা অবলম্বন করলে চুরির ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
বাইক চুরি ঠেকাতে করণীয়
১. হেভি ডিউটি লক ব্যবহার করুন
বাজারে এখন উন্নতমানের ডিস্ক লক, চেইন লক, হুইল লক পাওয়া যায়। এই ধরনের লক কেটে ফেলতে সময় লাগে এবং চোরকে রোধ করতে কার্যকর। সাধারণ লক নয়, বিশেষ করে স্টিল বা হাই সিকিউরিটি লক ব্যবহার করা ভালো।
২. নিরাপদ ও আলোকিত স্থানে পার্ক করুন
বাইক পার্কিংয়ের সময় এমন জায়গা বেছে নিন যা সিসি ক্যামেরার আওতায় বা নিরাপত্তাকর্মীর দৃষ্টির মধ্যে থাকে। অন্ধকার জায়গা বা নির্জন গলিতে পার্কিং করলে চুরির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
৩. জিপিএস ট্র্যাকার বসান
বর্তমানে বেশ কিছু জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস পাওয়া যায় যা আপনার বাইক কোথায় আছে তা রিয়েল টাইমে মোবাইলে দেখায়। চুরি হলেও সহজে লোকেশন শনাক্ত করে পুলিশ সহায়তায় ফিরে পাওয়া সম্ভব।
৪. অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিন
– অ্যালার্ম লক ব্যবহার করুন, যা নড়াচড়া হলেই বিকট শব্দে বাজে।
– বাইক কাভার ব্যবহার করুন, যাতে বাইকের ব্র্যান্ড ও মডেল সহজে বোঝা না যায়।
– বাইকের হ্যান্ডেল লক ছাড়াও দ্বিতীয় স্তরে লক করুন।

৫. বিশ্বস্ত পার্কিং সুবিধা ব্যবহার করুন
হাসপাতাল, মার্কেট বা অফিসে গেলে বাইক রাখুন নির্ধারিত পার্কিংয়ে, যেখানে টোকেন বা রশিদ দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তা থাকে। পরিচিত ও নজরদারির আওতায় বাইক রাখলে চোরের সুযোগ কমে।
বাইক চুরি হলেও করণীয়
১. তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করুন।
২. বাইকের কাগজপত্র ও ছবি আগে থেকেই স্ক্যান করে রাখুন।
৩. যদি জিপিএস ট্র্যাকার থাকে, লোকেশন শেয়ার করে পুলিশকে জানান।
৪. বাইক সম্পর্কিত ফেসবুক গ্রুপ, মার্কেট ও ওলএক্স, বিক্রয় ডটকম পর্যবেক্ষণ করুন।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে টুইন শক নাকি মনো শক অ্যাবসর্ভার ভালো?
মোটরসাইকেল চুরি অনেক সময় ২–৩ মিনিটের মধ্যেই ঘটে যায়। তাই একটু সচেতনতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা আপনাকে বহু টাকার বাইক ও মূল্যবান সময় রক্ষা করতে সাহায্য করবে। মনে রাখুন, চোরের গতি থামানো কঠিন, কিন্তু তাকে সুযোগ না দেওয়া আপনার হাতে।
এজেড

