মোটরসাইকেল চালকের আরাম, নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তার অন্যতম বড় সহায়ক হলো সাসপেনশন সিস্টেম। এই সিস্টেমের মূল অংশ হলো শক অ্যাবসর্ভার, যা রাস্তায় বাইকের ধাক্কা শোষণ করে এবং হ্যান্ডলিং উন্নত করে। বর্তমানে দুই ধরনের রিয়ার শক অ্যাবসর্ভার বেশি ব্যবহৃত হয় — টুইন শক (Twin Shock) এবং মনো শক (Mono Shock)। এই প্রতিবেদনে আমরা দুই ধরনের শক অ্যাবসর্ভার নিয়ে বিশ্লেষণ করব এবং কোনটি কাদের জন্য ভালো তা বোঝার চেষ্টা করব।
টুইন শক অ্যাবসর্ভার কী?
টুইন শক অ্যাবসর্ভার হলো এমন একটি সাসপেনশন ব্যবস্থা যেখানে মোটরসাইকেলের পেছনে দুইটি শক ব্যবহার করা হয় — একটি বাম পাশে ও একটি ডান পাশে। এটি বেশ পুরনো ও পরীক্ষিত একটি প্রযুক্তি।
টুইন শকের সুবিধা:
সহজ ও সস্তা প্রযুক্তি: মেইনটেন করা সহজ, খরচও কম।
ভার বহনে সক্ষম: পিলিয়ন সহ ভারি বোঝা বহনের জন্য ভালো।
বিজ্ঞাপন

গ্রামীণ ও অফ-রোড উপযোগী: সাধারণ রাস্তার বাইকগুলোর জন্য কার্যকর।
টুইন শকের অসুবিধা:
স্পোর্টি রাইডিংয়ে কম পারফরম্যান্স: হ্যান্ডলিং ও কর্নারিংয়ে তুলনামূলক কম নিয়ন্ত্রণ।
ওজন বেশি: দুটি শক যুক্ত থাকায় বাইকের ওজন কিছুটা বেড়ে যায়।
মনো শক অ্যাবসর্ভার কী?
মনো শক অ্যাবসর্ভার হলো একক শক ব্যবস্থা, যা সাধারণত বাইকের ফ্রেম ও সুইংআর্মের মাঝখানে যুক্ত থাকে। এটি আধুনিক স্পোর্টস ও প্রিমিয়াম বাইকগুলোতে বেশি দেখা যায়।

মনো শকের সুবিধা:
উন্নত হ্যান্ডলিং ও ব্যালেন্স: একক শক কেন্দ্রীয়ভাবে লাগানো থাকায় কর্নারিং ও স্ট্যাবিলিটি বেশি।
স্পোর্টস রাইডিং উপযোগী: দ্রুতগতিতে চালনায় আরও নিয়ন্ত্রণ পাওয়া যায়।
আধুনিক লুক ও প্রযুক্তি: বাইকে আধুনিক ও অ্যাগ্রেসিভ চেহারা এনে দেয়।
মনো শকের অসুবিধা:
মেরামতের খরচ বেশি: সমস্যা হলে রিপেয়ার বা পরিবর্তনের খরচ তুলনামূলক বেশি।
ভার বহনে কিছুটা দুর্বল: দুইজন যাত্রী বা ভারি বোঝায় কিছুটা কম কার্যকর হতে পারে, যদি সেটিংস ঠিকঠাক না হয়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের দুই চাকার সাইজ ভিন্ন ভিন্ন হয় কেন?
আপনি যদি শহরের মধ্যে স্বাভাবিক যাতায়াত, পিলিয়ন নিয়ে চলাফেরা কিংবা গ্রামীণ রাস্তায় চলাচলের জন্য বাইক ব্যবহার করেন, তাহলে টুইন শক অ্যাবসর্ভার উপযোগী হবে। তবে আপনি যদি স্পোর্টস রাইডিং, কর্নারিং, দ্রুতগতির নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক ডিজাইন পছন্দ করেন, তাহলে মনো শক অ্যাবসর্ভার আপনার জন্য সেরা পছন্দ হতে পারে।
এজেড

