স্কুটার এবং মোটরসাইকেল—উভয়ই দুই চাকার যান হলেও প্রযুক্তিগত গঠনে রয়েছে বড় পার্থক্য। বিশেষ করে গিয়ার ব্যবস্থার দিক থেকে স্কুটার আলাদা। সাধারণ বাইকে যেখানে গিয়ার শিফটার এবং ক্ল্যাচ লিভার ব্যবহার করে গিয়ার পরিবর্তন করতে হয়, স্কুটারে তেমন কিছু দেখা যায় না। কেন স্কুটারে গিয়ার শিফটার থাকে না, সেটিই এবার তুলে ধরা হলো।
স্বয়ংক্রিয় গিয়ার ব্যবস্থাপনা
স্কুটারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এতে সিভিটি (Continuously Variable Transmission) ব্যবহৃত হয়। এটি একটি স্বয়ংক্রিয় গিয়ার সিস্টেম, যেখানে ম্যানুয়ালি গিয়ার বদলানোর প্রয়োজন পড়ে না। এই প্রযুক্তির ফলে ইঞ্জিনের শক্তি সরাসরি পেছনের চাকায় পাঠানো যায় নিরবচ্ছিন্নভাবে, এবং গতি বাড়লে বা কমলে গিয়ার আপনা থেকেই মানিয়ে নেয়।

ক্লাচ লিভারের অনুপস্থিতি
স্কুটারে ক্লাচ লিভারও থাকে না, কারণ সিভিটি নিজেই ক্লাচের কাজ করে ফেলে। অর্থাৎ, রাইডারকে আলাদা করে ক্লাচ চেপে গিয়ার পাল্টানোর ঝামেলায় যেতে হয় না। এতে নতুন চালকদের জন্য স্কুটার চালানো সহজ হয়।
বিজ্ঞাপন
গঠন ও ডিজাইনে পার্থক্য
স্কুটারের পা রাখার জায়গা ফ্ল্যাট এবং মাঝে খালি জায়গা থাকে। ফলে গিয়ার শিফটারের মতো যন্ত্রাংশ রাখার জায়গা তেমন থাকে না। তাছাড়া, স্কুটার চালাতে পা দিয়ে কোনো গিয়ার পরিবর্তন করতে হয় না, তাই ডিজাইনটিও হয় সরল ও ব্যবহারবান্ধব।

সহজ চালনা ও শহুরে ব্যবহারের উপযোগী
যেহেতু স্কুটারে ম্যানুয়াল গিয়ারের ঝামেলা নেই, তাই এটি চালাতে তুলনামূলক সহজ। বিশেষ করে শহরের ট্রাফিক বা থেমে থেমে চলার অবস্থায় স্কুটার অনেক আরামদায়ক। ব্যস্ত রাস্তায় বারবার গিয়ার বদলানোর চাপ ছাড়াই নির্বিঘ্নে চালানো যায়।
আরও পড়ুন: কিছু মোটরসাইকেলে দুইটি সাইলেন্সার পাইপ থাকে কেন?
স্কুটারে গিয়ার শিফটার না থাকার মূল কারণ হলো এর স্বয়ংক্রিয় সিভিটি গিয়ার সিস্টেম। এতে গিয়ার পরিবর্তনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় হওয়ায় ক্ল্যাচ বা গিয়ার শিফটার প্রয়োজন পড়ে না। ফলে স্কুটার চালানো সহজ, আরামদায়ক ও ট্রাফিক উপযোগী।
এজেড

