বৃষ্টি আমাদের প্রকৃতিকে যেমন সতেজ করে তোলে, তেমনি এটি যানবাহন চলাচলের জন্যও অনেক ক্ষেত্রে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের জন্য বৃষ্টির সময় রাস্তায় চলাচল হয়ে ওঠে অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য অসতর্কতা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। এই প্রতিবেদনে বৃষ্টিতে মোটরসাইকেল চালানোর ঝুঁকিগুলো তুলে ধরা হলো।
বৃষ্টিতে মোটরসাইকেল চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণসমূহ-
১. রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে যায়
বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় ধুলা-মাটি ও তেল-মবিল মিশে রাস্তার পৃষ্ঠতল খুবই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে ব্রেক কষলেও গতি থামাতে সময় লাগে এবং গাড়ি পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

২. দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়
বৃষ্টির সময় হেলমেটের ভিজে গ্লাস কিংবা গাড়ির হেডলাইটের প্রতিবিম্বের কারণে চালকের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এতে পথের গর্ত, স্পিড ব্রেকার, কিংবা অন্য যানবাহন চোখে না পড়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
৩. ব্রেকিং সিস্টেমে সমস্যা
ভেজা অবস্থায় ব্রেক ঠিকমতো কাজ না করায় হঠাৎ ব্রেক করলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষত, ডিস্ক ব্রেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
৪. নিয়ন্ত্রণ হারানোর ঝুঁকি
বৃষ্টিতে শরীর ভিজে যাওয়ায় চালকের হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে, ফলে প্রতিক্রিয়া ধীর হয়ে পড়ে। এছাড়া মোটরসাইকেল ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

৫. গর্ত ও জলাবদ্ধতা
বৃষ্টির কারণে রাস্তায় গর্ত বা খানা চোখে পড়ে না। ফলে হঠাৎ গর্তে পড়লে চাকা আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া জলাবদ্ধ রাস্তায় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
৬. বজ্রপাতের ঝুঁকি
মাঠ বা খোলা জায়গায় বৃষ্টির মধ্যে চালালে বজ্রপাতের ঝুঁকি তৈরি হয়। মোটরসাইকেল ধাতব হওয়ায় এ সময়ে সরাসরি আঘাত পেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাইকের পেছনে বসা মানেই বিপদ? এই টিপসগুলো জানলেই নিরাপদ
বৃষ্টির মধ্যে মোটরসাইকেল চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনেক সময় জীবনহানির কারণ হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজন ছাড়া এ সময় রাস্তায় না নামাই উত্তম। আর বের হতেই হলে অবশ্যই হেলমেট, রেইনকোট, ভালো মানের টায়ার এবং কার্যকর ব্রেকিং সিস্টেম ব্যবহার নিশ্চিত করা উচিত।
এজেড

