শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মোটরসাইকেলের সিকিউরিটি লক কোনটি ভালো?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৫, ১১:১৭ এএম

শেয়ার করুন:

motorcycle lock

দেশজুড়ে দিন দিন বাড়ছে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। শহর হোক বা মফস্বল, নিরাপত্তার অভাবে এক নিমিষেই চুরি হয়ে যাচ্ছে মানুষের কষ্টার্জিত যানটি। তাই সচেতন ব্যবহারকারীদের কাছে প্রশ্ন উঠে আসে— মোটরসাইকেলের জন্য কোন ধরনের সিকিউরিটি লক সবচেয়ে কার্যকর?

বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের লক পাওয়া যায়— চেইন লক, ডিস্ক ব্রেক লক, হ্যান্ডেল লক, অ্যালার্ম লক, জিপিএস ট্র্যাকারসহ আধুনিক ইলেকট্রনিক লক। কিন্তু সব লকই কি সমান নিরাপত্তা দিতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লকের ধরন এবং ব্যবহারের কৌশলের উপর নির্ভর করে নিরাপত্তার মান।


বিজ্ঞাপন


চেইন লক ও ইউ-লক

এই ধরনের লকগুলো মূলত বাইকের চাকায় বা খুঁটির সঙ্গে বাঁধার জন্য ব্যবহৃত হয়। শক্ত মেটালের তৈরি এই লক ভাঙা তুলনামূলকভাবে কঠিন। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হেভি-ডিউটি চেইন ও ইউ-লক পাওয়া যায়, যেগুলো কাটার-প্রুফ এবং অ্যান্টি-সকিং প্রযুক্তিতে তৈরি।

lock

ডিস্ক ব্রেক লক

এই লক সাধারণত বাইকের সামনের চাকায় লাগানো হয়, যাতে চাকা ঘোরে না। অনেক ডিস্ক লকে অ্যালার্ম সংযুক্ত থাকে, যা বাইক নাড়াচাড়া করলে বিকট শব্দে বেজে ওঠে। এটি বাইক চুরি প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর একটি পদ্ধতি।

অ্যালার্ম লক ও মোশন সেন্সর

বাইকে কোনো স্পর্শ বা নড়াচড়া হলে এই ধরনের লক তৎক্ষণাৎ উচ্চ শব্দে সিগন্যাল দেয়। অনেক আধুনিক মোটরসাইকেলে বিল্ট-ইন অ্যালার্ম সিস্টেম থাকে, আবার আলাদা করেও লাগানো যায়।

ইমোবিলাইজার লক

এই লক বাইকের ইগনিশন সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। বাইকের আসল চাবি ছাড়া কেউ ইঞ্জিন স্টার্ট করতে পারে না। চোর যদি চাবির কপি করেও নেয়, অনেক সময় তা কাজ করে না।

lock2

জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম

এটি সরাসরি বাইক চুরির ঘটনা ঠেকাতে না পারলেও, চুরি হয়ে গেলে লোকেশন ট্র্যাক করে দ্রুত উদ্ধার করতে সাহায্য করে। অনেক ট্র্যাকারেই মোবাইল অ্যাপে বাইক বন্ধ করার অপশনও থাকে।

সচেতনতাই সেরা নিরাপত্তা

অনেকেই ব্যস্ততায় বাইক ঠিকমতো লক না করেই রেখে যান, কিংবা অন্ধকার জায়গায় পার্ক করেন। নিরাপদ স্থানে পার্কিং, সিসিটিভি-সমৃদ্ধ এলাকা বেছে নেওয়া, এবং নিয়মিত লকের অবস্থা যাচাই করাও চুরির ঝুঁকি হ্রাস করে।

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ডিস্ক ব্রেক নাকি ড্রাম ব্রেক ভালো?

মোটরসাইকেল চুরি রোধে শুধু একটি লকের ওপর নির্ভর না করে একাধিক লকের সমন্বিত ব্যবহার, অ্যালার্ম ও জিপিএস সিস্টেমের সংযোজন এবং সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীরা চাইলে অনেকাংশেই তাদের বাহনকে নিরাপদ রাখতে পারেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর