দেশে মোটরসাইকেলের ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। যানজট এড়িয়ে দ্রুত চলাচলের পাশাপাশি মোটরসাইকেল অনেকের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী যানবাহন হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তবে অনেক চালকই জানেন না, সঠিক গতি বজায় রেখে মোটরসাইকেল চালালে জ্বালানি খরচ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানো সম্ভব। এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হলো মোটরসাইকেলের ইকোনমি গতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ইকোনমি গতি বলতে কী বোঝায়?
ইকোনমি গতি হল এমন একটি নির্দিষ্ট গতি, যেখানে মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ জ্বালানি সাশ্রয়ে চলতে পারে। এই গতিতে ইঞ্জিনের আরপিএম (আরপিএম) মাঝারি অবস্থায় থাকে এবং জ্বালানি পোড়ানোর হার কমে যায়।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল চালাতে কেন ব্যাটারি লাগে?
কোন গতিতে সর্বোচ্চ সাশ্রয়ী চালনা সম্ভব?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে মোটরসাইকেল চালালে সর্বোচ্চ ফুয়েল ইকোনমি পাওয়া যায়। এর কারণ, এই গতি সীমার মধ্যে ইঞ্জিনের চাপ কম থাকে এবং গিয়ার সিস্টেম কার্যকরভাবে কাজ করে। ফলে ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং জ্বালানি খরচও হয় কম।
বিজ্ঞাপন

দ্রুত গতিতে বাড়ে ব্যয়
অনেক চালকই দ্রুত গতি পছন্দ করেন। কিন্তু ৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে চালালে ইঞ্জিনের আরপিএম বেড়ে যায় এবং জ্বালানি পোড়ানোর হার অনেকটাই বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে ৭০-৮০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে চললে ফুয়েল ইকোনমি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ইকোনমি গতি বজায় রাখতে করণীয়-
- নির্দিষ্ট গিয়ারে নির্দিষ্ট গতি বজায় রাখা।
- নিয়মিত ইঞ্জিন সার্ভিসিং।
- টায়ারের সঠিক প্রেসার মেনে চলা।
- অতিরিক্ত লোড পরিহার করা।
সতর্ক ও সচেতন চালনার মাধ্যমে শুধু ফুয়েল সাশ্রয়ই নয়, মোটরসাইকেলের দীর্ঘস্থায়ীত্ব এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই সাশ্রয়ী চালনার জন্য ৪৫-৫৫ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতি বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এজেড

