চলতি পথে মোটরসাইকেলের জ্বালানি তেল শেষ হয়ে গেল বেকায়দায় পড়তে হয়। বিশেষ করে কাছে পিঠে যখন পেট্রোল পাম্প থাকে না। যদিও এখনকার বেশিরভাগ মোটরসাইকেলে ফুয়েল গেজ বা ইন্ডিকেটর থাকে। যার মাধ্যমে বোঝা যায় ট্যাংকে তেল কতটুকু আছে? অনেক মোটরসাইকেলে তেলের এই কাটাটা নেই। আবার অনেকেই তেল শেষ হয়ে বাইক বন্ধ না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত ফুয়ে ইনন্ডিকেটরের দিকে ফিরেও তাকান না। ফলে পথিমধ্যে বিপদে পড়তে হয়।
মোটরসাইকেলের তেল শেষ হওয়ার লক্ষণসমূহ
ইঞ্জিন হঠাৎ করে থেমে যাওয়া বা ঝাঁকি দেওয়া
তেল একেবারে কমে গেলে ইঞ্জিনে জ্বালানি পৌঁছাতে না পেরে ঝাঁকি দেয় বা বন্ধ হয়ে যায়।
থ্রটল দেওয়ার পরেও গতি না বাড়া
তেল কমে গেলে ইঞ্জিন সাড়া দিতে দেরি করে বা শক্তি পায় না।
বিজ্ঞাপন
ইঞ্জিনের শব্দে পরিবর্তন
ইঞ্জিন সচরাচর মসৃণ শব্দ করে, কিন্তু তেল ফুরোতে থাকলে শব্দটা ভিন্ন শোনায় (কখনো কখনো কাশির মতো শব্দ হতে পারে)।
ফুয়েল গেজে ‘Empty’ বা ‘E’ দেখানো
যেসব বাইকে ফুয়েল গেজ আছে, সেখানে স্পষ্ট দেখা যাবে যে তেল শেষের পথে।
রিজার্ভ মোডে স্যুইচ করতে হওয়া
পুরনো বা ম্যানুয়াল ফুয়েল ট্যাপযুক্ত বাইকে হঠাৎ করে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেলে বুঝবেন যে এখন ‘রিজার্ভে’ নিতে হবে।
চালানোর সময় হালকা থেমে থেমে যাওয়া অনুভব করা
তেলের সরবরাহ ঠিকমতো না হলে বাইক স্বাভাবিকভাবে চলে না।
আরও পড়ুন: গরমে সাদা ভালো তবে মোটরসাইকেলের সিট কেন কালো?
চলতি পথে মোটরসাইকেলের তেল ফুরালে কী করবেন?
যদি রিজার্ভ থাকে, তাহলে ট্যাপ ঘুরিয়ে রিজার্ভে নিয়ে নিন।
কাছের ফিলিং স্টেশন অব্দি তেল নিয়ে যান যত দ্রুত সম্ভব।
নিয়মিত তেল চেক করা এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর রিফিল করাটা ভালো অভ্যাস।
আপনার মোটরসাইকেলের মডেল অনুযায়ী সংকেত কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।
এজেড