মোটরসাইকেল আমাদের দৈনন্দিন চলাচলে একটি জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ বাহন। অনেকেই নতুন মোটরসাইকেল কিনতে গিয়ে বা চালানো শেখার সময় একটি সাধারণ প্রশ্নের মুখোমুখি হন— মোটরসাইকেলের গিয়ার কয়টি থাকে? যদিও এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন, তবে এর উত্তর নির্ভর করে মোটরসাইকেলের ধরন ও ক্ষমতার উপর।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের গিয়ার বদলানোর সঠিক নিয়ম জানেন না অনেকেই
বিজ্ঞাপন
গিয়ার কীভাবে কাজ করে?
গিয়ার হলো মোটরসাইকেলের এমন একটি ব্যবস্থা যা ইঞ্জিনের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে চাকা পর্যন্ত পৌঁছায়। এটি বাইকের গতি ও টর্ক (বল প্রয়োগের ক্ষমতা) নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কম গিয়ারে বাইক ধীরে চলে কিন্তু টর্ক বেশি থাকে, আর উচ্চ গিয়ারে গতি বেশি কিন্তু টর্ক কমে যায়।

মোটরসাইকেলে সাধারণত কয়টি গিয়ার থাকে?
মোটরসাইকেলের গিয়ারের সংখ্যা মূলত বাইকের ইঞ্জিন ক্ষমতা (সিসি) ও ডিজাইন অনুসারে নির্ধারিত হয়। নিচে কিছু সাধারণ ধরন তুলে ধরা হলো-
৯০ সিসি – ১২৫ সিসি ৪ গিয়ার Hero Splendor, Honda Dream
১৫০ সিসি – ২০০ সিসি ৫ গিয়ার Bajaj Pulsar, Yamaha FZ
২০০ সিসি– ৬০০সিসি প্লাস ৬ গিয়ার Yamaha R15, KTM RC 390

গিয়ার বিন্যাস (Gear Pattern)
বেশিরভাগ মোটরসাইকেলে নিচের দুই ধরনের গিয়ার বিন্যাস দেখা যায়-
১ নিচে, বাকিগুলো উপরে (1 - Neutral - 2 - 3 - 4 - 5)
এটি সবচেয়ে প্রচলিত গিয়ার প্যাটার্ন।
সব গিয়ার উপরের দিকে (Neutral - 1 - 2 - 3 - 4 - 5 - 6)
এই সিস্টেমটি কিছু স্পোর্টস বাইকে ব্যবহৃত হয়।

কেন গিয়ার সংখ্যা গুরুত্বপূর্ণ?
গিয়ারের সংখ্যা যত বেশি, তত বেশি আপনি ইঞ্জিনকে বিভিন্ন গতির সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন। দীর্ঘ রাইড, হাইওয়ে স্পিড, কিংবা স্টপ-গো ট্র্যাফিকে গিয়ার ব্যবস্থাপনা চালকের জন্য অনেক বেশি সুবিধা এনে দেয়।
আরও পড়ুন: এই নিয়মে মোটরসাইকেলের গিয়ার বদলালে মাইলেজ বাড়বে বহুগুণ
মোটরসাইকেলে কতটি গিয়ার থাকবে তা নির্ভর করে বাইকের মডেল, ইঞ্জিন ক্ষমতা ও ব্যবহারের উদ্দেশ্যের উপর। সাধারণত কমিউটার বাইকে ৪ থেকে ৫ গিয়ার এবং স্পোর্টস বাইকে ৬ গিয়ার পর্যন্ত দেখা যায়। সঠিক গিয়ার ব্যবহারে বাইকের পারফরম্যান্স যেমন বাড়ে, তেমনি জ্বালানি সাশ্রয়ও হয়।
এজেড

