গরমকালে গাড়িতে এসি চালানোর প্রয়োজন হয়। এসি চালালে আরাম লাগে ঠিকই, কিন্তু পকেটও ফাঁকা হয়! কারণ জ্বালানি খরচ বাড়ে। তবে এরও সুরাহা আছে! মেনে চলুন এই সহজ কৌশল আর গাড়িতে দেদার এসি চালান, তেল পুড়বে কম, ভালো মাইলেজও পাবেন।
গরমকালে গাড়িতে চাপা মানেই এসি চালানো। এসি চালালে আরাম লাগে ঠিকই, কিন্তু পকেটও ফাঁকা হয়! কারণ পেট্রল পোড়ে বেশি। তবে এরও সুরাহা
বিজ্ঞাপন
গাড়ির এসি কীভাবে কাজ করে?
এসি কাজ করার জন্য যে শক্তি প্রয়োজন, তা এসি নেয় গাড়ির ইঞ্জিন থেকে। ইঞ্জিনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে এবং গাড়িকে আরও জ্বালানি ব্যবহার করতে বাধ্য করে।
একাধিক রিপোর্ট ও সমীক্ষা অনুযায়ী, গাড়ির এসি চালু থাকলে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পেট্রোল বা ডিজেলের খরচ বেড়ে যায়। প্রতি ১০০ কিলোমিটারে ০.২ থেকে ১ লিটার পেট্রোল শুষে নেয় এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞদের দাবি, গাড়িতে বেশি এসি চালালে, তা গাড়ির মাইলেজের উপরে ৫ থেকে ৭ শতাংশ প্রভাব ফেলে।
গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট না করলে এসিও অন হয় না আর ইঞ্জিন চালানোর জন্য প্রয়োজন পড়ে তেলের। যত দীর্ঘ এসি অন থাকবে তত বেশি শক্তির প্রয়োজন পড়বে ইঞ্জিনের, যাতে কমে গাড়ির মাইলেজ।
আপনি যদি গাড়ির এয়ার কন্ডিশনার তার সর্বোচ্চ সেটিংসে চালান, তাহলে গাড়ির গড় মাইলেজের রিটার্ন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। তাহলে গাড়িতে এসি চালানোর পর-ও কীভাবে কম তেল পোড়াবেন এবং ভালো মাইলেজ পাবেন?
এই গরমে গাড়ি যদি শেড-এর তলায় না থাকে, তবে ভেতরটা তেতেপুড়ে থাকবে। তাই গাড়িতে উঠে আগে এসি চালিয়ে দেবেন না, গাড়ির জানলাগুলো খুলে আগে গরম হাওয়া বার হতে দিন। তারপর এসি চালান।
প্রথমেই যখন গাড়ির এসি অন করছেন, তখন তাপমাত্রা বেশি রাখুন, ধীরে ধীরে কমান। এতে আপনার গাড়ির ভিতর অনেক্ষণ পর্যন্ত ঠান্ডা থাকবে এবং তেল বেশি পুড়বে না।
গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার সঙ্গেই রিসার্কুলেশন মোডটি বন্ধ করুন, এরফলে বায়ুচলাচল হবে এবং গরম বাতাস বেরিয়ে যাবে। পরে গাড়ির ভেতরটা আবার ঠান্ডা হয়ে গেলে রিসার্কুলেশন মোড চালু করুন।
আরও পড়ুন: গাড়ির এসি চালালে কি মাইলেজ কমে যায়?
গ্রীষ্মে গাড়ির এসি ও কম্প্রেসের নিয়মিত চেক করান। নিয়মিত গাড়ির এসি চেক করতে থাকলে এসি খুব তাড়াতাড়ি গাড়ি ঠান্ডা করতে পারবে ফলে আপনি চাইলে কিছুক্ষণ এসি চালিয়ে তা বন্ধ করেও গাড়ি চালাতে পারেন।
এজেড