বিদেশ থেকে আমদানিকৃত মোটরসাইকেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এজন্য ভারতের বাজেট ২০২৫-এ আমদানিকৃত মোটরসাইকেলের ওপর শুল্ক হ্রাস করেছে। যে কারণে বিদেশ থেকে আমদানি করার ফলে এতদিন যে সমস্ত মোটরসাইকেলের হাতের নাগালের বাইরে ছিল, সেগুলো দাম কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সিবিইউ , এসকেডি ও সিকেডি ফরম্যাটে আসা বাইকের ওপর প্রদত্ত শুল্কে উল্লেখযোগ্য হ্রাস ঘটানো হয়েছে। ১৬০০ সিসির বেশি ক্ষমতার সিবিইউ মোটরসাইকেলগুলোর ক্ষেত্রে শুল্ক পূর্বে ৫০ শতাংশ ছিল, যা এখন কমে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। তদুপরি, এসকেডি ইউনিটের শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশ এবং সিকেডি ইউনিটের শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ১০ শতাংশে পৌঁছেছে।
বিজ্ঞাপন

১৬০০ সিসির কম ক্ষমতার সিবিইউ বাইকের ক্ষেত্রে শুল্ক পূর্বে ৫০ শতাংশ ছিল, যা এখন কমে ৪০ শতাংশে এসেছে। একইভাবে, এসকেডি ইউনিটের ক্ষেত্রে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমে ২০ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে, আর সিকেডি ইউনিটের জন্য শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশে।
আরও পড়ুন: নতুন ক্যাফে রেসার বাইক আনছে এই কোম্পানি
এই শুল্ক হ্রাসের ফলে বেশ কিছু বৃহৎ ব্র্যান্ড উপকৃত হবে এবং কিছু মোটরসাইকেলের দামে সম্ভাব্য হ্রাস আসতে পারে। যদিও অনেক কোম্পানি বিদেশ থেকে মোটরসাইকেল আমদানি করে থাকে, তবে ডুকাতি এবং ট্রায়াম্পের মতো ব্র্যান্ডদের বেশিরভাগ বাইক থাইল্যান্ড থেকে এফটিএ রুটে আসে বলে তাদের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে, ইতালি ও যুক্তরাজ্য থেকে আমদানিকৃত তাদের উচ্চমানের কিছু বাইকে এই শুল্ক হ্রাসের সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হারলে ডেভিডসনের ক্ষেত্রেও এই পরিবর্তন ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
বিজ্ঞাপন
এজেড

