শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। সকাল-সন্ধ্যা ঘর থেকে বের হলে শীত কতটা পড়েছে বোঝা যায়। শুধু বাসা-বাড়ি নয়, গাড়িতেও একই অবস্থা। নড়াচড়া করার জো নেই। অনেকে বলতে পারেন, গাড়ির জানলা দরজা বন্ধ করে কাচ তুলে দিলে আর ঠান্ডা ঠুকবে কী করে?
কিন্তু জানলার কাচ বন্ধ রেখে কী আর ঠান্ডা আটকানো যায়! না, শীতকালে গাড়ির ভেতরও ঠান্ডা হয়ে যায়। অনেকেই তাই হিটার চালান। মুশকিল হল, বন্ধ পরিবেশে হিটার সবার সহ্য হয় না। শরীর খারাপ করে। এর কারণ একটাই। সঠিক তাপমাত্রা না জানা।
বিজ্ঞাপন
শীতকালে গাড়ির হিটারের তাপমাত্রা এমন হওয়া উচিত যাতে আরাম লাগে। অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা শুধু অস্বস্তিকর নয়, এর ফলে শরীর খারাপও হতে পারে। তাহলে শীতকালে গাড়ির হিটারের তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?

বিশেষজ্ঞরা বলেন, সাধারণত গাড়ির হিটারের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখা উচিত। অর্থাৎ ৬৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে ৭২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মধ্যে। এই তাপমাত্রায় পরিমিত উষ্ণতা মিলবে। গাড়ির ভেতরের আবহাওয়াও আরামদায়ক থাকবে। সঠিক তাপমাত্রা বজায় রাখারও কিছু কৌশল রয়েছে।
অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল ব্যবহার করা উচিত: যাদের গাড়িতে এই ফিচার রয়েছে, তারা এটি সেট করে গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা স্থির রাখতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: গাড়ির এসির তাপমাত্রা কত রাখা উচিত?
উইন্ডো ডিফগার ব্যবহার: যদি উইন্ডশিল্ডে কুয়াশা জমে, তাহলে হিটারের সঙ্গে ডিফগার ব্যবহার করতে হবে। এটা গাড়ির ভেতরের এবং বাইরের তাপমাত্রার মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সিট হিটার আরামদায়ক: যদি গাড়িতে সিট হিটার থাকে, তাহলে অবশ্যই তা ব্যবহার করা উচিত। এটা শুধু আরামদায়ক তাই নয়, হিটারের তাপমাত্রাও খুব বেশি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।
গাড়িতে যেন তাজা বাতাস ঢুকতে পারে: মাঝে মাঝে বাইরের বাতাস ঢোকার জন্য ভেন্টগুলো সামান্য খুলে দিতে হবে। এতে গাড়ির ভেতরের বাতাসও সতেজ থাকবে।
সাবধানতা: খুব বেশি তাপমাত্রায় হিটার চালানো উচিত নয়। এতে অস্বস্তি হতে পারে। পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে, অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা তাপমাত্রা স্বাস্থ্যের ওপরেও প্রভাব ফেলে। যাত্রীদের পাশাপাশি চালকও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তখন বিপদ। সঠিক তাপমাত্রায় শুধু যাত্রা আরামদায়ক হবে তাই নয়, জ্বালানি খরচও বাঁচবে।
এজেড

