স্টার্ক ফিউচার নামের একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের লাইনআপ সম্প্রসারিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যার জন্য সম্প্রতি একটি নতুন মডেলের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে।
এটি একটি ইলেকট্রিক এনডুরো মোটরসাইকেল। অর্থাৎ অফ-রোডিংয়ের জন্য উপযুক্ত। এবড়ো-খেবড়ো রাস্তাতেও এই বাইক সমান জারিজুরি দেখাতে সক্ষম। উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রিমিয়াম বাইকের প্রথম সারির নির্মাতা রায়্যাল এনফিল্ড গত বছর এই কোম্পানির একটি অংশীদারিত্ব কিনেছিল।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: শীতের সকালে বাইক স্টার্ট দেওয়ার সহজ উপায়
স্টার্ক ফিউচার ভার্গ ইক্স মডেলটি স্টার্কের পূর্ববর্তী এমএক্স মডেলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তবে এটি রাস্তার ব্যবহারের জন্য বৈধ। সংস্থার পোর্টফোলিওতে মডেলটিকে এমএক্সের উপরে অবস্থান দেওয়া হয়েছে। এতে আরও উন্নত ফিচার, বড় ব্যাটারি প্যাক এবং দীর্ঘ যাত্রার রেঞ্জ যুক্ত করা হয়েছে। মোটরসাইকেলটি দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে – আলফা এবং একটি নিম্ন ক্ষমতার ভ্যারিয়েন্ট।

আলফা ভ্যারিয়েন্টটি ৭.২ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতার ব্যাটারি প্যাক দেওয়া হয়েছে। এটি সর্বাধিক ৮০ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন করে। অন্যদিকে নিম্ন ভ্যারিয়েন্টটি ৬০ বিএইচপি শক্তি দেয়। এছাড়া, এই মোটরসাইকেলে পাঁচটি রাইডিং মোড বর্তমান। যা ১০ বিএইচপি থেকে ৮০ বিএইচপি শক্তি পর্যন্ত আউটপুট প্রদান করতে সক্ষম।
বিজ্ঞাপন
ভার্গ এক্সের ওজন মাত্র ১২০ কেজি। যে কারণে এটিকে একটি অত্যন্ত হালকা মোটরসাইকেল বলা যায়। এই বাইক একটি স্টিল ট্রেলিস ফ্রেমে নির্মিত এবং সামনে ২১ ইঞ্চি ও পেছনে ১৮ ইঞ্চি চাকা রয়েছে।
এই মোটরসাইকেলের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে একটি আলাদা করার মতো স্মার্টফোন-ধরনের ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, যেটি ‘স্টার্ক আরকেনস্টোন’ নামে পরিচিত।
স্টার্ক ভার্গ এক্স মডেলটি ২০২৫ সাল থেকে ইউরোপের বাজারে বিক্রি শুরু হবে। এটি মূলত কেটিএমের উচ্চমানের বাইকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
প্রসঙ্গত, স্টার্ক ফিউচারের নতুন এই মডেলটি ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এটি ইলেকট্রিক বাইকের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
এজেড

