অনেকেই মনে করেন মোটরসাইকেলের ট্যাংক ফুল করে নিলে বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়। যদিও তাদের এই যুক্তি আবার অনেকের কাছেই অগ্রহণযোগ্য। একেক জনের একেক রকমের অভ্যাস। কেউ বাইক নিয়ে বের হলে ১০০-২০০ টাকার পেট্রোল ভরেন। আবার কেউ সবসময় ট্যাংক ফুল করে রাখেন। কিন্তু কোনটা লাভজনক? টু হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্যাংক ভর্তি রাখাই উচিত। এতে বাইকের পারফরম্যান্স ঠিক থাকে। একই সঙ্গে টাকাও বাঁচে।
ট্যাংক ফুল করলে বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়
বিজ্ঞাপন
ট্যাংক ফুল থাকলে ইঞ্জিনে জ্বালানির চাপ স্থির থাকে। ফলে ইঞ্জিন তার সম্পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে পারে। মাইলেজ বেশি পাওয়া যায়। ট্যাঙ্ক অর্ধেক বা কম পেট্রোল থাকলে ফুয়েল পাম্পকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে মাইলেজে। সোজা কথায়, মাইলেজ কমে যায়। পারফরম্যান্সেও এর খারাপ প্রভাব পড়ে।
ফুয়েল পাম্পের সুরক্ষা
ফুয়েল পাম্পের সুরক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। ট্যাংক পুরো ভর্তি করলে ফুয়েল পাম্প ঠান্ডা এবং লুব্রিকেটেড থাকে। আর জ্বালানি কম থাকলে পাম্প গরম হয়ে যেতে পারে। এমনটা লাগাতার চলতে থাকলে আয়ুস্কালও কমে যায়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বাইকের ফুয়েল ট্যাংকে পানি ঢুকলে কী করবেন?
কম কন্ডেনসেশন
খালি ট্যাংকে বাতাসের সংস্পর্শে কন্ডেনসেশন বা পানি জমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এই পানি ফুয়েলের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। আর তেমনটা হলে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
দীর্ঘ দূরত্ব অনায়াসে অতিক্রম করা যায়
ট্যাংক ফুল থাকলে পেট্রোল ভরার জন্য বারবার থামার দরকার হয় না। সময় বাঁচে। অর্থ বাঁচে। আর দীর্ঘ দূরত্ব অনায়াসে অতিক্রম করাও যায়। তাছাড়া সময়ও কম লাগে।
আরও পড়ুন: কার্বুরেটর নাকি ফুয়েল ইনজেকটেড মোটরসাইকেল ভালো?
কম দামের ফায়দা
জ্বালানির দাম কখনও এক জায়গায় থাকে না। কখনও বাড়ে কখনও কমে। তবে মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য খরচ যে হারে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে জ্বালানির দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং বাড়বে। এ ক্ষেত্রে দাম বাড়ার আগে ট্যাংক ফুল করে নেওয়া যায়। যখন দাম বাড়বে, তখন অতটা গায়ে লাগবে না।
বাইকের ট্যাংক ফুল করার সময় যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত
ট্যাংক ফুল থাকলে বাইক তার পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারে। ইঞ্জিন ভালো থাকে। সামগ্রিকভাবে বাইকের সুস্বাস্থ্যের জন্য এটা জরুরি। তবে ট্যাঙ্ক ফুল করা মানে সম্পূর্ণ ভর্তি করা নয়। বিশেষ করে গরম কালে এতে বিপদ হতে পারে। কারণ তাপের কারণে জ্বালানি প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ট্যাংক ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তি করা উচিত। পাশাপাশি নিয়মিত সার্ভিসিং করাতে হবে। এতে বাইকের পারফরম্যান্স এবং মাইলেজ বজায় থাকবে।
এজেড