মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কার্বুরেটর নাকি ফুয়েল ইনজেকটেড মোটরসাইকেল ভালো?

অটোমোবাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ এএম

শেয়ার করুন:

fi engine

মোটরসাইকেলে দুই ধরনের ফুয়েল পাম্প সিস্টেম রয়েছে। একটি কার্বুরেটর অন্যটি ফুয়েল ইনজেকটেড বা এফআই সিস্টেম। একটু সনাতনী মোটরসাইকেলে সাধারণত কার্বুরেটর সিস্টেম দেখা যায়। অন্যদিকে আধুনিক বাইকগুলোতে রয়েছে এফআই সিস্টেম। 

আপনার বাইকে কী ইঞ্জিন রয়েছে?


বিজ্ঞাপন


ইন্টার্নাল কমবাশন ইঞ্জিন যা প্রত্যেক বাইক এবং গাড়িতে ব্যবহার করা হয়। এগুলোয় থাকে কার্বুরেটর এবং ফুয়েল ইনজেকটেড সিস্টেম। দুইটি সিস্টেমের কাজ করার ধরন কিছু জায়গায় এক হলেও, রয়েছে বেশ কিছু পার্থক্য। যার ফলে গাড়ির ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং পরিবেশ দূষণ কম হয়।

আরও পড়ুন: এই একটি নিয়মে মোটরসাইকেল চালালে টিকবে বছরের পর বছর

কার্বুরেটর ইঞ্জিনে মূলত এয়ার-ফুয়েল মিশ্রণ কমবাশন চেম্বারে পাঠাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে এই মিশ্রণ পৌঁছায় ইঞ্জিনে। অন্যদিকে ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিনও এয়ার-ফুয়েল মিশ্রণ পাঠাতে সাহায্য করে, তবে বিদ্যুৎ এবং সেন্সরের মাধ্যমে।

engine-[pic


বিজ্ঞাপন


কার্বুরেটর ও ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিনের মধ্যে কোথায় পার্থক্য রয়েছে?

কার্বুরেটর ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে: কার্বুরেটরের প্রধান কাজ হল নির্দিষ্ট অনুপাতে বাতাস এবং জ্বালানি মিশ্রণ করে কমবাশন ইঞ্জিনের পাঠানো। বাইকে যখনই কেউ থ্রটল চাপে এটি বায়ুপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয় এবং সেই অনুযায়ী জ্বালানির সরবরাহ ঘটে ইঞ্জিনে। সহজ ভাষায় বললে, বাতাসের বেগ বাড়ানোর জন্য জ্বালানি সরবরাহকে নিয়ন্ত্রণ বা সীমাবদ্ধ করা একটি টিউব হল কার্বুরেটর।

ফুয়েল ইনজেকটেড যেভাবে কাজ করে : এই সিস্টেম বেশ জটিল। কারণ এতে বেশ কিছু বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং সেন্সরের দরকার পড়ে। আর এই পুরো প্রক্রিয়া নির্ভর করে একটি ফুয়েল পাম্পের উপর। যা থেকে ফুয়েল ট্যাংকের ভেতরে। ঠিক কত জ্বালানি প্রবেশ করে তা ঠিক করে একটি ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিট (ইসিইউ)।

fi

এই সিস্টেমের মাধ্যমে এয়ার-ফুয়েল মিশ্রণ পরিমাণ ঠিক হয়। বাইকের থ্রটল স্পিড, ইঞ্জিনের তাপমাত্রা, চাপ ইত্যাদি শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী এয়ার-ফুয়েল মিশ্রণ সরবরাহ করে ফুয়েল ইনজেকটেড সিস্টেম। এই সিস্টেমর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে।

ফুয়েল ইনজেকটেড ইঞ্জিনের সুবিধা

সঠিক এয়ার-ফুয়েল মিশ্রণ সরবরাহ হয়
পরিষ্কার এবং দক্ষতার সঙ্গে জ্বালানি সরবরাহ হয়
থ্রটল চাপার সঙ্গে সঙ্গে জ্বালানি পৌঁছায়
বেশি মাইলেজ পাওয়া যায়
কার্বুরেটর থেকে মেইনটেনেন্স খরচ কম
পুরো প্রক্রিয়াটি হয় ইলেক্ট্রনিক কন্ট্রোল ইউনিটের মাধ্যমে

ফুয়েল ইনজেকটেডের থেকে কোথায় এগিয়ে কার্বুরেটর?

কার্বুরেটর সিস্টেমর খরচ কম
বাইকের ইঞ্জিন টিউন করার জন্য জটিল বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়া রয়েছে
সারানোর জন্য দামী যন্ত্রের দরকার, খরচ বেশি
ইসিইউ ইউনিট খারাপ হয়ে গেলে বাইক স্টার্ট নেবে না।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর