রয়েল এনফিল্ডের ৩৫০, ৪১০ এবং ৬৫০ সিসির মোটরসাইকেলই বেশি বিক্রি হয় বাজারে। কিন্তু আপনি কী জানেন একসময় ৭৫০ সিসির মোটরবাইক তৈরি করত রয়েল এনফিল্ড। এই মোটরসাইকেল বিক্রি হত রমরমিয়ে, কিন্তু কেন বন্ধ হল?
মিড রেঞ্জ ইঞ্জিনের জগতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় টু হুইলার সংস্থা রয়েল এনফিল্ড। ঝুলিতে রয়েছে ৩৫০ সিসির বাইক থেকে ৪১০ সিসির স্ক্র্যাম্বলার এবং ৬৫০ সিসির সমান্তরাল টুইন ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলও। ভারতে এই তিন রেঞ্জেই মোটরবাইক অফার করে সংস্থা।
বিজ্ঞাপন
সমান্তরাল টুইন ইঞ্জিনের যদি কথা বলি তাহলে এই ক্ষেত্রে রয়েল এনফিল্ডের দুই বাইকের কথা বলতেই হয় যা হল ইন্টারসেপ্টার ৬৫০ এবং কন্টিনেন্টাল জিটি ৬৫০। ভারতজুড়ে এই বাইকের জনপ্রিয়তা বাড়তেই মোটরবাইকগুলোতে একাধিক আপডেট আনা শুরু করেছে সংস্থা।
ইন্টারসেপ্টার এবং কন্টিনেন্টাল সংস্থার সবচেয়ে বেশি ইঞ্জিন ক্যাপাসিটি যুক্ত বাইক। কিন্তু আপনি কী জানেন এর আগে ৭৫০ সিসির বাইকও বানিয়েছে রয়েল এনফিল্ড। হ্যা ঠিকই শুনছেন ১৯৬০ এর দশকে প্রথম সমান্তরাল টুইন মোটরের পরিচয় করেছিল রয়েল এনফিল্ড।
বিজ্ঞাপন
১৯৯২ সালে প্রথম ৭৫০ সিসির ফ্ল্যাগশিপ মোটরসাইকেল বাজারে আনে রয়েল এনফিল্ড। এটি ছিল সংস্থার সবচেয়ে বড় ইঞ্জিনের বাইক। তখনকার সময় এই ইঞ্জিনের বাইক বানানোর সাহস একমাত্র দেখাতে পেরেছিল রয়েল এনফিল্ড।
শুধু তাই নয়, এই ইঞ্জিনের সঙ্গে ১৬০ কিমি প্রতি ঘণ্টার রেকর্ডও ভাঙে রয়েল এনফিল্ড। সেই সময় এই ইঞ্জিনের মোটরসাইকেল দারুণ বিক্রি হত বাজারে। এই ইঞ্জিনের একাধিক ভেরিয়েন্টে লঞ্চ করেছিল সংস্থা।
এই সমান্তরাল টুইন ইঞ্জিন বাইকের বিক্রি ১৯৬০ এর দশকেই বন্ধ করে দেয় সংস্থা। এর কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে, সেই সময় দূষণ সংক্রান্ত কঠোর নিয়ম আনা হয়েছিল একাধিক দেশে। পাশাপাশি জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করে। ফলে এই ইঞ্জিনের বাইক বন্ধ করতে বাধ্য হয় সংস্থা।
এরপরই শুরু হয় রয়েল এনফিল্ডের নতুন যুগ। বাজারে প্রবেশ করে ইন্টারসেপ্টার ৬৫০ এবং কন্টিনেন্টাল জিটি ৬৫০। সংস্থার সিইও সিড লালের নেতৃত্বে উভয় মোটরবাইক দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বর্তমানে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ এবং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই দুটি বাইক বিক্রি করে সংস্থা।
এই মুহূর্তে সমান্তরাল টুইন ইঞ্জিনের তিনটি বাইক রয়েছে সংস্থার - ইন্টারসেপ্টার, কন্টিনেন্টাল এবং সুপার মিটিওর। আগামীদিনে এই সিরিজে আরও দুইটি বাইক আনছে রয়েল এনফিল্ড যা হল শটগান ৬৫০ এবং ইন্টারসেপ্টার বিয়ার ৬৫০।
এজেড