বর্ষাকালে বৃষ্টির পানিতে গাড়িতে মরিচা পড়ে। এর ফলে গাড়ির রঙ নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে উপায়? এই সময় গাড়ির বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। সঙ্গে মেনে চলতে হবে কয়েকটা পদ্ধতি।
ওয়াক্স কোটিং: গাড়ির গায়ে ভাল মানের ওয়াক্স কোটিং লাগাতে হবে। এটা প্রতিরক্ষামুলক স্তর হিসাবে কাজ করে। গাড়ির শরীর পর্যন্ত পানি এবং আর্দ্রতা পৌঁছতে বাধা দেয়। এতে রঙ ভালো থাকে। মরিচা পড়ার ঝুঁকিও কমে।
বিজ্ঞাপন
আন্ডার কোটিং: গাড়ির নিচে আন্ডারকোটিং করা হয়। এখানে পানি বেশি লাগে। মরিচা পড়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে। তাই আন্ডারকোটিং করালে আর্দ্রতা এবং মরিচা পড়ার আশঙ্কা কমে যাবে। খুব বেশি নোংরাও হবে না।
আরও পড়ুন: এক চার্জে প্রায় ৫০০ কিমি চলবে এই ইলেকট্রিক গাড়ি
নিয়মিত ধোয়া এবং শুকানো: বৃষ্টির পানি ভালো করে ধুয়ে ফেলা উচিত। বিশেষ করে যে সব জায়গায় পানি জমতে পারে। যেমন ডোর সিল, চাকা এবং আন্ডারবডি। ধোয়ার পর গাড়ি শুকনো জায়গায় রাখতে হবে।
কভার: গাড়ি যদি বাইরে পার্ক করা থাকে তাহলে ওয়াটারপ্রুফ কভার দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। এটা শুরু বৃষ্টি নয়, ধুলো-বালির হাত থেকেও রক্ষা করবে।
বিজ্ঞাপন
নিকেল এবং ক্রোম পার্টসের যত্ন: গাড়ির ক্রোম এবং ধাতব অংশে সবার আগে মরিচা পড়ে। এগুলো নিয়মিত পরিস্কার করতে হয়। প্রয়োজনে অ্যান্টি রাস্ট স্প্রে বা পালিশ করতে হবে।

ড্রেন হোল পরিস্কার: গাড়ির দরজা এবং অন্যান্য অংশে ড্রেন হোল রয়েছে, যাতে পানি বেরিয়ে যেতে পারে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এগুলো পরিস্কার করা উচিত। এর ফলে পানি জমবে না। মরিচা পড়ার আশঙ্কাও কমবে।
অ্যান্টি রাস্ট ট্রিটমেন্ট: অ্যান্টি রাস্ট ট্রিটমেন্টে গাড়ির শরীরে একটা লেয়ার তৈরি করে। ফলে পানি এবং অক্সিজেন ধাতব অংশে পৌঁছাতে পারে না।
স্ক্র্যাচ যেন না থাকে: গাড়িতে কোনও রকমের স্ক্র্যাচ থাকলে অবিলম্বে মেরামত করা উচিত। কারণ ওই অংশে মরিচা পড়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে।
গাড়ির ভেতরের আর্দ্রতা: গাড়ির ভিতরের আর্দ্রতা কমাতে ড্যাশবোর্ডে সিলিকা জেল প্যাক বা অ্যান্টি ময়শ্চার প্রোডাক্ট রাখা উচিত। এটা গাড়ির ভেতরের অংশে মরিচা পড়ার আশঙ্কা কমাবে।
এজেড

