অনেকেই কম দামে ভালো মোটরসাইকেল খোঁজেন। তাদের পছন্দ কম সিসির বাইক। যেগুলোর জ্বালানির খরচ যেমন কম, মাইলেজও দেয় বেশি। এন্ট্রি লেভেলের এসব বাইকের দাম হাতের নাগালে।
কোন মোটরসাইকেলের দাম সবচেয়ে কম?
বিজ্ঞাপন
আপনি যদি কম দামে ভালো মোটরসাইকেল খোঁজেন তবে কিনতে পারেন ভারতীয় ব্র্যান্ড। এই তালিকায় আছে বাজাজ, হিরো, হোন্ডা এবং টিভিএসের নানা মডেল।
২০২৪ সালে কেউ যদি কম দামে ভালো মোটরসাইকেল কিনতে চান তবে হিরো স্প্লেন্ডর ও হোন্ডা শাইনের কথা প্রথমেই বলতে হয়। এগুলোর দাম যেমন কম। মাইলেজেও সেরা। এই দুই মডেলের কাটতিও ভালো।
আরও পড়ুন: এই মোটরসাইকেলগুলোর দাম সবচেয়ে কম
এছাড়াও কিনতে পারেন বাজাজ সিটি ১০০ কিংবা প্লাটিনা। এগুলোরও দাম। মাইলেজও পাবেন ভালো।
বিজ্ঞাপন

সাশ্রয়ী দামের বাইকের তালিকায় রাখতে পারেন টিভিএস মেট্রো। এই মডেল ভারত ও বাংলাদেশে দেদারসে বিক্রি হয়েছে। মূলত কম দাম, অধিক মাইলেজ ও কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচের কারণেই ক্রেতারা এই মডেল লুফে নিয়েছেন।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স
এই বাইকের মাইলেজ ৬৫ কিলোমিটার, সস্তা টু হুইলারের মধ্যে বহু মানুষের পছন্দ এই বাইক। হিরো এইচএফ ডিলাক্স-এ রয়েছে ৯৭.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বাধিক ৭.৯১ হর্সপাওয়ার তৈরি করে।
৯.১ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি রয়েছে এতে। উচ্চ মাইলেজের পাশাপাশি এই বাইকের ওজনও বেশ হালকা মাত্র ১১০ কেজি।

বাজাজ সিটি ১১০
প্রতি লিটার তেলে ৭০ কিমি মাইলেজ দেয় বাজাজ সিটি ১০০। এই মোটরসাইকেলটিতে রয়েছে ১১৫.৪৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৮.৪৮ হর্সপাওয়ার উত্পন্ন করে। লম্বা রাস্তা ভ্রমণ করার জন্য আদর্শ এই মোটরসাইকেল।
বাজাজ প্ল্যাটিনা ১০০
কমিউটার মোটরসাইকেলের মধ্যে আরেকটি ভালো অপশন বাজাজ প্ল্যাটিনা ১০০। এতে রয়েছে ১০২ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৭.৯ হর্সপাওয়ার উত্পন্ন করে। এই বাইকে পাওয়া যায় প্রতি লিটারে ৭২ কিলোমিটার। দুর্দান্ত জ্বালানি দক্ষতা মেলে এই বাইকে। বাজাজ প্ল্যাটিনা ১০০ এর মেইনটেনেন্সও অন্যান্য বাইকের তুলনায় অনেক কম।

টিভিএস স্পোর্ট
বাজাজ সিটি ১০০ এর মতো এই মোটরসাইকেলেও পাওয়া যায় ৭০ কিমি মাইলেজ কমিউটার মোটরসাইকেলের বাজারে দুর্দান্ত মডেল টিভিএস স্পোর্ট, ১০৯.৭ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে এই বাইকে। যা সর্বোচ্চ ৮.১৮ হর্সপাওয়ার তৈরি করে। সঙ্গে রয়েছে ৪ স্পিড ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন।
হিরো স্প্লেন্ডর প্লাস
এই মোটরসাইকেলের মাইলেজ ৭০ কিলোমিটার। ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি রয়েছে ৯.৮ লিটার। এই বাইকে পাবেন ৯৭.২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। যা সর্বোচ্চ ৫.৯ কিলোওয়াট শক্তি তৈরি করে। এই বাইকের সম্প্রতি নতুন এডিশন লঞ্চ করেছে সংস্থা যেখানে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি পাবেন চালকরা।
এজেড

