images

নারী ও শিশু

বাসায় ঢুকে ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মহিলা পরিষদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ মে ২০২৩, ০৭:০৫ এএম

গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায় প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখান করায় ঘরে ঢুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছ এক গৃহশিক্ষক। এ সময় ছাত্রীর মা ও বোনকেও গুরুতর আহত করা হয়। শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী হত্যার এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

বুধবার (১০ মে) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় যে, গাজীপুর মহানগরীর সালনা এলাকায় প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় ঘরে ঢুকে এক কলেজছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, ছাত্রীর মা ও বোনকে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই পরিবারের এক গৃহশিক্ষক।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ছাত্রী ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ছাত্রীর ছোট দুই বোনকে আরবি পড়ানোর জন্য বাসায় যাওয়া-আসার সুবাদে গৃহশিক্ষক ও মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলামের তার দিকে কুনজর পড়ে। কিছুদিন পরে সাইদুল ওই ছাত্রীকে বিয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১ মে রাতে বাসায় ঢুকে ধারালো ছুরি দিয়ে ছাত্রীর মাথায়, গলায়, হাতে, পায়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে ওই গৃহশিক্ষক। এ সময় তার চিৎকারে মা ও বোন ঘরে গিয়ে বাঁধা দিলে সাইদুল ছুরি দিয়ে তাদেরকেও আঘাত করে পালিয়ে যায়। 

গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রীকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ছাত্রীর মা।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখান করায় নারী ও কন্যাদের প্রতি যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্তকরণের ঘটনা ঘটছে। এমনকি নারী-কন্যা ও পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার মতন ঘটনাও ঘটেই চলেছে। এ ধরণের ঘটনা নারী ও কন্যাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন, স্বাধীন চলাচলে নিরাপত্তা হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা তাদের শিক্ষাজীবনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারী ও কন্যার নিরাপত্তার বিষয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।

এ অবস্থায় এ ঘটনার সাথে জড়িতকে দ্রুত গ্রেফতার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণের দাবি জানিয়েছে মাহিলা পরিষদ। সেই সাথে নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে এলাকাভিত্তিক ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

এমএইচ/এএস