‘কন্যাশিশু সুরক্ষিত থাকলে সুরক্ষিত থাকবে আগামীর বাংলাদেশ’

কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাদের মতে— কন্যাশিশু সুরক্ষিত থাকলে আগামীর বাংলাদেশও সুরক্ষিত থাকবে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে গুড নেইবারস বাংলাদেশ (জিএনবি) আয়োজিত ‘ওড ড্যাডি’ (ভালো পিতা) সম্মাননা অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তারা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিএনবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুল। বক্তব্য রাখেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারজানা শারমিন, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, জিএনবি’র নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান, নির্ভীক নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া, এবং জিএনবি’র শিক্ষা বিভাগের প্রধান আনন্দ কুমার দাশ।

বক্তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহ ও শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধ করা যাচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে পিতার দায়িত্বশীলতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সম্মিলিত পদক্ষেপের প্রয়োজন।

রাশিদা বেগম বলেন, "কন্যাশিশু সুরক্ষিত থাকলে সুরক্ষিত থাকবে আগামীর বাংলাদেশ।" তিনি বলেন, জাতি গঠন ও সমাজ উন্নয়নের জন্য কন্যাশিশুদের সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি, এবং অভিভাবকদের তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করতে হবে। তিনি তার পিতার উদাহরণ দেন, যিনি মাস্টার্স পাসের আগে তার বিয়ে দিতে চাননি।

এম মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেন, "আমাদের সকল কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা।" সচেতন পিতারা তাদের মেয়েদের শিক্ষা ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন এবং বাল্যবিবাহকে নিরুৎসাহিত করেন। তিনি 'গুড ড্যাডি' ক্যাম্পেইনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০১৬ সালে কন্যাশিশুর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতার অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য 'গুড ড্যাডি' ক্যাম্পেইন শুরু হয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে এ পর্যন্ত ২৪৫ জন ‘ওড ড্যাডি’ সম্মাননা পেয়েছেন এবং মোট ৫ হাজার ৩০টি পরিবার এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে।

বিইউ/এইউ