নিজস্ব প্রতিবেদক
০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৭ এএম
চলতি বছরের জুন মাসে সারাদেশে মোট ২৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
সোমবার (০১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৩টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে ২০২৪ সালের জুন মাসে মোট ২৯৭ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৪ জন। যার মধ্যে ১২ কন্যাশিশুসহ ১৯ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে ১৭ জন নারী ও কন্যাশিশু। আর ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৪ জন কন্যাশিশুকে।
নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, উল্লিখিত সময়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৩২ কন্যাশিশু ও ১৬ জন নারী। পাশাপাশি উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন একজন কন্যাশিশু। পাচারের শিকার হয়েছেন তিনজন কন্যাশিশু। অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন একজন নারী।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুন মাসে যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছয় নারী। আর যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে একজন কন্যা শিশু ও তিনজন নারীকে। আটজন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে এক কন্যাশিশুও রয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পাঁচজন নারী। এ সময়ে দুই গৃহকর্মী হত্যার শিকার হয়েছেন। একজন গৃহকর্মী আত্মহত্যা করেছেন।
মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে বিভিন্ন কারণে ৪ জন কন্যাশিশুসহ ৪৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন ৩ জন নারী। চারজন কন্যাশিশুসহ ২৪ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর নয়জন কন্যাশিশুসহ ১8 জন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তিনজন। তিন নারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। আটজন কন্যাশিশুসহ নয়জনকে অপহরণ করা হয়েছে। এছাড়া চারজন কন্যাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু জুন মাসে বাল্যবিবাহ হয়েছে তিনটি। বাল্য বিবাহের চেষ্টা হয়েছে চারটি। সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন তিনজন কন্যাশিশু। এছাড়াও ১৫ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ৭ জন নারী ও ৮ কন্যাশিশু রয়েছে।
এমএইচ/এএস