images

তথ্য-প্রযুক্তি

মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে চাঁদেও!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

২৯ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫২ পিএম

এক সময়ের জনপ্রিয় মোবাইল নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান নকিয়া ফিরে আসছে নতুন রূপে। বিভিন্ন চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে মালিকানা পরিবর্তনের পর নতুন লোগো নিয়ে নতুনভাবে আসছে নকিয়া। ইতিমধ্যে একের পর এক চমক দিচ্ছে এইচএমডি গ্লোবাল মালিকানার প্রতিষ্ঠানটি। তাদের কল্যাণে এবার চাঁদেও পাওয়া যাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক! সেই নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে ইন্টারনেটও।

নকিয়া চলতে বছরের শেষদিকে চাঁদে ৪জি নেটওয়ার্ক বসাতে চলেছে বলে জানিয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। এই চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চাঁদে থাকা অচেনা পদার্থ আবিষ্কার এবং মহাকাশচারীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এক্ষেত্রে মার্কিন সংস্থা স্পেসএক্স এর সাহায্য নিতে চলেছে নকিয়া।

nokia-lunarজানা গেছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এই প্রকল্পে নকিয়া ব্যবহার করতে চলেছে অ্যান্টেনা বেস স্টেশন, যা নোভার সি লুনার ল্যান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে। এর সঙ্গে থাকবে একটি সৌর চালিত রোভার।

সিএনবিসি এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মিশনে ল্যান্ডার ও রোভারের মধ্যে এলটিই কানেকশন তৈরি করা হবে। মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস ২০২৩ অনুষ্ঠানে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল নকিয়া। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। এই নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড, কন্ট্রোল ফাংশনসহ লুনার রোভারের রিমোট কন্ট্রোল, রিয়েল টাইম ন্যাভিগেশন, হাই-ডেফিনিশন ভিডিও ইত্যাদির মধ্যে জরুরি কমিউনিকেশন তৈরিতে সাহায্য করবে।

এই প্রসঙ্গে নকিয়ার এক মুখপাত্র জানান, ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করার ফলে মহাকাশচারীরা মিশন চলাকালীন তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে খুব সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবে। এর পাশাপাশি মিশনের রিয়েল টিম ভিডিও স্ট্রিম করা এবং মিশন সংক্রান্ত প্রতিটি ডেটা পৃথিবীতে পাঠাতে সাহায্য করবে।

নকিয়ার মতে, এই প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত সরঞ্জামাদি যদি তৈরি হয়ে যায় এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলোর পরীক্ষা যদি সম্পন্ন হয় তাহলে ২০২৩ সালেই তা বাস্তবায়িত করার সুযোগ রয়েছে।

4g-network-moonতবে শুধু মহাকাশচারীদের মধ্যে উন্নত যোগাযোগ সিস্টেম তৈরি করাই তাদের উদ্দেশ্য নয় বলে জানিয়েছে নকিয়া। বরং এই লুনার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে চাঁদের জমিতে বরফ আবিষ্কার করতে চায় তারা।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, চাঁদে এখনও বেশ কিছু অংশে বরফ রয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই বরফ পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনে রূপান্তর করে রকেট পরিচালনা করা যেতে পারে। এছাড়া এই বরফ চাঁদের জমিতে মহাকাশচারীদের অক্সিজেনের চাহিদাও পূরণ করতে পারে।

এমএইচটি