images

তথ্য-প্রযুক্তি

অ্যাপল ওয়াচের জন্মদাতার হাতেই নেই স্মার্টওয়াচ! কারণ জানলে অবাক হবেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম

বর্তমান যুগে স্মার্টওয়াচ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে অ্যাপল ওয়াচের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো, যে প্রকৌশলী এই অ্যাপল ওয়াচ তৈরির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন, তিনি নিজেই এখন আর হাতে ঘড়ি পরেন না। অ্যাপলের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার রে ফার্নান্দোর এই সিদ্ধান্ত প্রযুক্তি বিশ্বে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

শুরুর দিকে ইতিবাচক প্রভাব রে ফার্নান্দো জানিয়েছেন, অ্যাপল ওয়াচ এক সময় তার জীবনে অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিল। তিনি যখন প্রথমবার এই ঘড়িটি ব্যবহার শুরু করেন, তখন এটি তাকে প্রতি মিনিটে ওজন বৃদ্ধি বা ফিটনেস সংক্রান্ত অ্যালার্ট পাঠাত। এই প্রযুক্তির সাহায্যেই তিনি একটি সুশৃঙ্খল রুটিন তৈরি করতে পেরেছিলেন এবং বছরের পর বছর ধরে সেই পরামর্শ মেনে নিজেকে ফিট রেখেছেন।

1140-apple-smartwatches

প্রযুক্তির দাসত্ব থেকে মুক্তি তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘড়িটি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তিক্ত হতে শুরু করে ফার্নান্দোর কাছে। তিনি অনুভব করেন, তার জীবন এখন আর নিজের ইচ্ছায় চলছে না বরং একটি যন্ত্রের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তের নোটিফিকেশন এবং রুটিন মেনে চলার তাগিদ ধীরে ধীরে তাকে বিরক্ত করে তোলে। যদিও সেটিংস পরিবর্তন করে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব ছিল, কিন্তু তিনি বারবার সেটিংস বদলানোর ঝামেলায় না গিয়ে সরাসরি ঘড়িটি থেকেই দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

যন্ত্র নয়, এখন নিজের শরীরের কথায় ভরসা স্মার্টওয়াচ ছেড়ে দেওয়ার পর ফার্নান্দো এখন নিজেকে অনেক বেশি স্বাধীন মনে করেন। তিনি জানান, প্রতিটি ছোটখাটো বিষয়ের ওপর সবসময় নজর রাখার আর প্রয়োজন বোধ করেন না তিনি। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় এখন তিনি নিজেই বোঝেন যে প্রতিদিন তার কতটা হাঁটা উচিত, কী ধরনের খাবার খাওয়া প্রয়োজন কিংবা কতটা পরিশ্রম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। শরীরের প্রতিটি সংকেত বোঝার জন্য এখন আর তার কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন: স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২৬ আল্ট্রা মডেল কবে আসবে জানা গেল

অন্যদের জন্য বার্তা রে ফার্নান্দোর এই অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে প্রযুক্তি জীবনকে সহজ করার জন্য, নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নয়। সুস্থ থাকার জন্য তথ্যের চেয়ে নিজের শরীরের ভাষা বুঝতে পারা অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে। তার এই সিদ্ধান্ত অনেককেই নতুন করে ভাবাচ্ছে যে আমরা কি আসলেই প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি?

এজেড