তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
১১ আগস্ট ২০২৫, ০২:০১ পিএম
ইউটিউব এখন কেবল বিনোদন বা তথ্যের উৎস নয়, এটি একটি শক্তিশালী আয় করার প্ল্যাটফর্ম। সঠিক পরিকল্পনা ও নিয়ম মেনে ইউটিউব থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ইউটিউব আয় শুরু করতে হলে প্রথমে জানতে হবে মনিটাইজেশন যোগ্যতা, অ্যাডসেন্স সেটআপ এবং স্পন্সরশিপের ধরন সম্পর্কে।
ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে ভিডিও থেকে আয় করার জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়:
কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
গত ১২ মাসে মোট ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন ও কপিরাইট নীতি মেনে চলতে হবে।
আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ২-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু থাকতে হবে।
মনিটাইজেশন শুরু করতে হলে Google Adsense অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইউটিউব চ্যানেল লিঙ্ক করতে হবে—
Google Adsense এ সাইন আপ করুন।
ইউটিউব স্টুডিও থেকে Monetization ট্যাবে গিয়ে আবেদন দিন।
ইউটিউব আপনার চ্যানেল রিভিউ করবে, যা সাধারণত ১-২ সপ্তাহ সময় নেয়।
রিভিউ পাশ হলে Adsense এর মাধ্যমে ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হবে।
মাসে নির্দিষ্ট আয় হলে Adsense থেকে পেমেন্ট পাবেন।

স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল
জনপ্রিয় চ্যানেলগুলো ব্র্যান্ডের পণ্যের বিজ্ঞাপন বা রিভিউ করে আয় করে।
স্পন্সরশিপ পেতে আপনার চ্যানেল ও দর্শকদের ভালোভাবে প্রমোট করতে হয়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
ভিডিওতে পণ্য বা সার্ভিসের লিংক দিয়ে বিক্রয় থেকে কমিশন নেওয়া যায়।
উদাহরণ: অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট, লোকাল অনলাইন শপের কমিশন প্রোগ্রাম।
মার্চেন্ডাইজ বিক্রয়
নিজের ব্র্যান্ডের টি-শার্ট, ক্যাপ বা অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করা।
ইউটিউবের Merch Shelf ফিচার ব্যবহার করে সরাসরি ভিডিও থেকে বিক্রি করা যায়।
সুপারচ্যাট ও চ্যানেল মেম্বারশিপ
লাইভ স্ট্রিমের সময় দর্শকরা সুপারচ্যাটের মাধ্যমে অর্থ দিতে পারে।
মেম্বারশিপ চালু করলে নির্দিষ্ট সাবস্ক্রাইবাররা পেইড কনটেন্ট পায়।
৪. আয় বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় টিপস
নিয়মিত ও মানসম্মত ভিডিও আপলোড করুন।
ভিডিওর টাইটেল, ডিসক্রিপশন ও ট্যাগ ভালোভাবে সাজান।
দর্শকদের সঙ্গে ইন্টার্যাক্টিভ থাকুন—কমেন্টের জবাব দিন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করে দর্শক বাড়ান।
ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করুন।
আরও পড়ুন: ফেসবুক প্রোফাইল থেকে ইনকাম করার উপায়
ইউটিউব থেকে আয় শুরু করতে প্রথমে মনিটাইজেশন শর্ত পূরণ করা প্রয়োজন। এরপর Adsense সেটআপ, স্পন্সরশিপ ও অন্যান্য বিকল্প আয় উপায়গুলো কাজে লাগালে আয় বৃদ্ধি সম্ভব। ধৈর্য্য ও পরিকল্পনা থাকলে ইউটিউব আপনার জন্য স্থায়ী আয়ের উৎস হতে পারে।
এজেড