images

তথ্য-প্রযুক্তি

কত সাবস্ক্রাইবার, কত ভিউ হলে টাকা দেয় ইউটিউব?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

০৫ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম

বৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। যা গুগলের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই নেট মাধ্যমটি কেবলমাত্র বিনোদনের খোড়াকই জোগায় না, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের অর্থও জোগায়। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এই প্ল্যাটফর্মে নানা ধরনের রকমারি বিষয়ে ভিডিও আপলোড করছেন। আর সবথেকে বড় কথা হল, এভাবে ভিডিও পোস্ট করে বহু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর কিন্তু এখান থেকে প্রচুর রোজগারও করছেন। কিন্তু অধিকাংশ মানুষের মনে এই প্রশ্ন জাগে যে, ইউটিউবে কত ভিউ হলে তবে একজন ক্রিয়েটর তা থেকে টাকা পেতে শুরু করেন? আর কখনই বা ক্রিয়েটরের কাছে আসে সেই বহু প্রতীক্ষিত গ্লোডেন বাটন?

ইউটিউবে কত ভিউ হলে ক্রিয়েটররা টাকা পান?

সবার প্রথমে এটা মনে রাখা আবশ্যক যে, ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য কেবল ভিউ-ই শেষ কথা নয়! বরং ক্রিয়েটরকে ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামের অংশ হতে হবে। তবে সেটা কিন্তু মুখের কথা নয়! কারণ এর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু শর্ত রয়েছে। সেই শর্তগুলো নিচে উল্লেখ করা হল-

১. চ্যানেলটির কমপক্ষে ১০০০ জন সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।

২. বিগত ১২ মাসে চ্যানেলটির ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম অথবা ১ কোটি শর্টস ভিউ (গত ৯০ দিনে) থাকতে হবে।

৩. এছাড়াও, ইউটিউবের কমিউনিটি গাইডলাইন্স এবং পলিসি অনুসরণ করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

একবার যদি কোনও ক্রিয়েটরের চ্যানেল ইউটিউবের পার্টনার প্রোগ্রামে যোগদান করে, তাহলে সেই ক্রিয়েটর নিজের ভিডিও-র বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারবেন। ইউটিউব ভিডিওতে সিপিএম (কস্ট পার ১০০০ ইম্প্রেশন) সাধারণত ১৫ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা কন্টেন্টের ক্যাটাগরি, লোকেশন এবং অডিয়েন্সের ওপর নির্ভর করে।

rube

কখন ইউটিউবের প্লে বাটন পাবেন ক্রিয়েটররা? 

১. যখন ক্রিয়েটররা সাবস্ক্রাইবার মাইলফলক স্পর্শ করেন, তখন তাদের পুরস্কার দেয় ইউটিউব। যাকে বলা হয় ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস। এর তিনটি প্রধান প্লে বাটন রয়েছে।

২. সিলভার প্লে বাটন: চ্যানেলে ১ লক্ষ গ্রাহক সংখ্যা পূর্ণ হলে ক্রিয়েটররা পেয়ে যান এই বাটন।

আরও পড়ুন: গুগলে এসব বিষয়ে জানতে সবচেয়ে বেশি সার্চ হয়

৩. গোল্ড প্লে বাটন: চ্যানেলে ১০ লক্ষ গ্রাহক সংখ্যা পূর্ণ হলে ক্রিয়েটররা পেয়ে যাবেন এই বাটন।

৪. ডায়মন্ড প্লে বাটন: চ্যানেলের গ্রাহক সংখ্যা ১ কোটি হয়ে গেলে ক্রিয়েটেররা এই প্লে বাটন পাবেন।

গ্লোডেন বাটন: একে একটি বিশেষ কৃতিত্ব হিসেবেই বিবেচনা করা হয়ে থাকে। কারণ সেই স্তরে পৌঁছানোর জন্য কেবল কন্টেন্টের মান ভালো হলেই হয় না, এর সঙ্গে ক্রিয়েটরদের নিরন্তর কঠোর পরিশ্রম এবং দর্শক বা সাবস্ক্রাইবারদের ভালবাসারও প্রয়োজন হয়।

এজেড