images

তথ্য-প্রযুক্তি

এআই প্রযুক্তিতে ভাষা শেখার নবযাত্রা, ‘এলসা স্পিক’ অ্যাপের উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে যাত্রা শুরু করল মোবাইল অ্যাপ ‘এলসা স্পিক’। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম। 

এই অ্যাপ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে এই প্রযুক্তিনির্ভর ভাষা শিক্ষার প্ল্যাটফর্মের নতুন অধ্যায় শুরু হলো। অনুষ্ঠানে অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করে অ্যাপটি বাংলাদেশের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করে। চুক্তিটি স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘এলসা কর্পোরেশন’ এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘ব্যাকবন লিমিটেড’। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা শুরু করা এলসা অ্যাপটি ইতোমধ্যে ১৯০টিরও বেশি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে।

এলসা কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট উইল পোলেস। অন্যদিকে, ব্যাকবন লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন শেখ মাহিন, নির্বাহী পরিচালক আরিফ উল্লাহ খান এবং মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক আমিনুর রহমান।

আয়োজকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ৮ কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী এ পর্যন্ত এলসা স্পিক অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন। মূলত উচ্চারণ ও সাবলীলভাবে ইংরেজি বলার দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক এই অ্যাপটি মোবাইল প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর উচ্চারণ বিশ্লেষণ করে তাৎক্ষণিকভাবে ফিডব্যাক দিয়ে দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করে।

এলসা শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য নয় বরং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্পোরেট ব্যবস্থাপনার জন্যও আলাদা সংস্করণ চালু করেছে। ‘এলসা স্কুল’ নামে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি বলার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটি ভার্সন রয়েছে। অন্যদিকে, ‘এলসা বিজনেস’ সংস্করণটি কর্পোরেট পেশাজীবীদের পেশাদার ইংরেজি দক্ষতা বৃদ্ধিতে উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম বলেন, বর্তমান যুগে এআই প্রযুক্তি শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এলসা স্পিক অ্যাপ তরুণ প্রজন্মের জন্য এক যুগান্তকারী সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে আন্তর্জাতিক মানের ইংরেজি দক্ষতা অপরিহার্য। সেই চাহিদা পূরণে এলসার মতো প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ অত্যন্ত সময়োপযোগী।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীরা যাতে স্বল্প সময়ে ও সহজ পদ্ধতিতে উচ্চমানের ইংরেজি উচ্চারণে পারদর্শী হতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই ধরনের অ্যাপ্লিকেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা এই ধরনের উদ্ভাবনকে সবসময় স্বাগত জানাই এবং আশা করি, এলসা দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপটির কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং প্রযুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে মতবিনিময় করেন। ভবিষ্যতে দেশের শিক্ষা খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক আরও উন্নত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বানও জানান আয়োজকরা।

এমআই/এফএ