তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
২০ জুন ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
স্মার্টফোন ছাড়া এখন জীবন কল্পনা করা যায় না। কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবহারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হলো, ইন্টারনেট ডাটা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া। কেউ কেউ দিনের শুরুতে ১ জিবি প্যাক কিনেও দুপুরের মধ্যেই দেখেন, সব শেষ! এমন পরিস্থিতি এড়াতে হলে দরকার কিছু বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও কৌশল।
নিচে এমন ১০টি কার্যকর পরামর্শ দেওয়া হলো, যা অনুসরণ করলে আপনি মোবাইল ডাটা অনেকটাই সাশ্রয় করতে পারবেন:
অ্যানড্রয়েড ও আইফোনে আলাদাভাবে ডেটা সেভার ফিচার থাকে। এটি চালু করলে ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা অ্যাপগুলো ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে না, ফলে অপ্রয়োজনীয় ডাটা নষ্ট হয় না।
অ্যানড্রয়েড: Settings → Network & Internet → Data Saver
আইফোন: Settings → Mobile Data → Low Data Mode

অনেক অ্যাপ আপনাকে না জানিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাটা ব্যবহার করে (যেমন- Facebook, WhatsApp)। Settings-এ গিয়ে নির্দিষ্ট অ্যাপের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডাটা বন্ধ করে দিন।
ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক এবং নেটফ্লিক্স এসব অ্যাপে ভিডিও দেখার সময় ৭২০ পিক্সেল বা ১০৮০ পিক্সেলের বদলে ৩৬০ পিক্সেল বা ৪৮০ পিক্সেলে ভিডিও দেখুন। এতে এক ভিডিওতেই ৫০–৭০% ডাটা বাঁচে।
হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপে ছবি, অডিও, ভিডিও অটো-ডাউনলোড হয়ে যায়। এতে ডাটা দ্রুত শেষ হয়।
হোয়াটসঅ্যাপে যান → Settings → Storage and Data → Auto-download সেটিংসে গিয়ে সব কিছু 'Wi-Fi only' করে দিন।

যে অ্যাপ আপনি প্রায় ব্যবহারই করেন না, কিন্তু ফোনে বসে আছে—তা হয়তো চুপচাপ ডাটা খরচ করছে। এমন অ্যাপ ডিলিট করলে ফোন হালকা হবে, আবার ডাটাও বাঁচবে।
গুগল ক্রোম বা অপেরা মিনি ব্রাউজারে ডেটা সেভার অপশন চালু রাখলে ব্রাউজিংয়ের সময় কম ডাটা খরচ হয়।
ক্রোমে: Settings → Lite Mode (এটি কিছু সংস্করণে Data Saver নামে থাকে)
অ্যাপ, সফটওয়্যার আপডেট বা ভিডিও ডাউনলোড করার সময় চেষ্টা করুন ওয়াইফাই কানেকশনে থাকাকালে করতে। মোবাইল ডাটায় এসব করলে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়।
অনেক ফ্রি অ্যাপে বারবার ভিডিও অ্যাড আসে, যা ডাটা খায়। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রো/প্রিমিয়াম ভার্সন কিনলে ডাটা এবং সময়—দুই-ই সাশ্রয় হয়।

ফোনের হটস্পট চালু থাকলে অনেক সময় পেছনে অন্য ডিভাইস ডাটা খেয়ে ফেলে। তাই হটস্পট অন রাখলে মনে রাখুন, কারা সংযুক্ত এবং কী করছে।
সেটিংসে গিয়ে ‘ডাটা ইউজেস’ অপশন থেকে কোন অ্যাপ কতটুকু ডাটা খাচ্ছে, তা দেখে নিন। প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপ বন্ধ বা নিয়ন্ত্রণ করুন।
আরও পড়ুন: ফোন চার্জে কতক্ষণ রাখা উচিত, বেশি সময় চার্জে থাকলে কী হয়?
ডাটা শেষ হওয়া মানেই শুধু আর্থিক ক্ষতি নয়, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। উপরের পরামর্শগুলো অনুসরণ করলে আপনি কেবল নিজের ডাটাকেই সাশ্রয় করবেন না, বরং আরও বুদ্ধিমানের মতো স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
এজেড